বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৮:৩১ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদন – সাভার বিএনপি’র দুঃসময়ের কর্মী লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম এর বিরুদ্ধে একের পর এক কুৎসা রটনা করে যাচ্ছে একশ্রেণীর কুচক্রী মহল। এমনটা অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে সাভারের মাটিতে সবচেয়ে বেশি হামলা মামলার শিকার হয়েছি আমি। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। একটি রাতের জন্য ও ঠিকমত বাসায় ঘুমাতে পারিনি। পরিবার পরিজন নিয়ে চরমনিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সবচেয়ে বড় টার্গেট ছিলাম এই আমি খোরশেদ আলম। অথচ যারা গত ১৭ বছর ধরে নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য আওয়ামী দোসরদের সাথে হাত মিলিয়ে চলেছে,তারা আজ বড় গলায় কথা বলে। সাভার আশুলিয়াবাসী তাদেরকে চেনে। দলের প্রয়োজনে তারা একবিন্দুও ত্যাগ স্বীকার করেনি। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য স্বৈরাচারের দোসর হয়ে দিব্যি আরাম আয়েশে গত ১৭ বছরে তারা জীবন পার করেছে। অথচ আমি একটি দিনের জন্য অথবা একটি রাতের জন্য নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য কারো সাথে আপোষ করিনি। এটাই কি আমার অপরাধ? গতকাল কে বা কারা পৌর বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আরিফকে মারধর করেছে সেটা আমার জানার কথা নয়। অথচ তার মামা সাভারের ব্যবসায়ী অভি আমাকে জড়িয়ে তার ফেসবুক আইডিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছে। যে ঘটনার সাথে আমি কোনভাবেই জড়িত নই। আমি যে বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছি এই ঘটনার সাথে কোনভাবেই আমি জড়িত নই। তারা সেই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে পারেনি। না পেরে নানান ভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য, দলীয় নেতা কর্মীদের কাছে আমাকে ছোট করার জন্য অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। আমি বলতে চাই, সাভারবাসি জানে খোরশেদ আলম কে? জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রয়োজনে নিজেকে সবসময় বিলিয়ে দিয়েছি, ভবিষ্যতেও দেবো ইনশাল্লাহ। আমার শুধু একটাই বক্তব্য, যারা নামমাত্র বিএনপি করে অথচ আওয়ামী লীগের দোসরদের সাথে যাদের উঠাবসা ছিল। তারাই আজ নিজেদেরকে বিএনপি’র বড় নেতা বলে মনে করে। আমার দল বিএনপি এইসব মোনাফেকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আমি সেই প্রত্যাশা করি। সবশেষে আমি বলতে চাই, সাভারবাসির জন্য আমি আমার জান প্রাণ কুরবানী করতে প্রস্তুত আছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।