রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
ভুমি উন্নয়ন সেবা মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌছে দিতে চাই – ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন শ্যামনগরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগ অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

বিরলে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দখলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স 

সাদেকুল ইসলাম,
Update Time : রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন

 

 

সাদেকুল ইসলাম,

বিরল(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:

 

দিনাজপুরের বিরলে কর্মরত বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের (রিপ্রেজেন্টেটিভ) দখলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল। বিপাকে পড়ছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা। ভুক্তভোগীরা জানায়, চিকিৎসকের রুম থেকে বের হতে না হতেই রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি আর ছবি তোলা শুরু করেন তারা। কোনরকম অনুমতি না নিয়েই হাত থেকে কেড়ে নেন রোগীর ব্যবস্থাপত্র। দীর্ঘদিন ধরে এমন চিত্র সাধারণ মানুষের চোখে পড়লে ও চোখে পড়ে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ, রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি তুলা বিষয়ে নিয়ম নীতি থাকলে ও এ বিষয়টিকে কোনভাবে কর্ণপাত করছেন না অনেকেই। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা একাধিক রোগীরা জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে ওষুধ কোম্পানির লোকজন এসে প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলে নেন। এতে আমরা বিব্রতবোধ করি।

 

সরকারি হাসপাতালে বহি-বিভাগে ডাক্তার দেখাতে প্রতিদিন ছুটে আসেন শত শত রোগী। কিন্তু রোগী দেখার সময় ওই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ডাক্তারদের রুমে ঢুকে তাদের কোম্পানির ওষুধ সম্পর্কে লেকচার দিয়ে সময় নষ্ট করেন। আর এদিকে অসহায় রোগী ও তাদের স্বজনরা বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন সিরিয়ালের জন্য। তারপর সিরিয়াল পেয়ে যখন রোগীরা ডাক্তার দেখিয়ে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাইরে বের হন তখনই কোনরকম অনুমতি না নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের হাত থেকে কেড়ে নেন ব্যবস্থাপত্র। তারপর একাধিক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা শুরু করেন পালাক্রমে ছবি তোলা। বিরল উপজেলা হাসপাতালে ঢুকলে মনে হয় চিকিৎসা নিতে রোগী এবং রোগীর স্বজনরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা সকাল থেকে ভিড় করে প্রতিটি বিভাগের ডাক্তারদের রুমের সামনে আর হাসপাতালের গেটে। পদোন্নতি ও চাকুরি বাঁচানোর জন্য দিনের পর দিন তারা এহেন কর্মকান্ড করেই চলেছেন।

 

এ বিষয়ে দায়িত্বরত বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সানোয়ারা বলেন ছবি তোলা তাদের কাজ তাঁরা তো করবেই কারও পছন্দ না হলে সে ছবি তুলতে দিবেনা। হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ ও সেবা নিতে আসা রোগীদের হয়রানি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা রুমের ভিতরে থাকি বাহিরে কি হচ্ছে এটা দেখা আমাদের দায়িত্ব নয়। এ ব্যাপারে তাদেরকে সতর্ক করেছি তারা কথা না শুনলে আমাদের কি করার আছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের কোন নিয়মকানুন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সকাল ৯টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত তাদের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে বলে জানান।।