শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট: ভয়েস অফ সুন্দরবন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে সাতক্ষীরার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। সেই সাথে থেমে থেমে হচ্ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।
সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জেলার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী মুন্সিগঞ্জ ,কৈখালী সহ উপকূলীয় অঞ্চলে কয়েক দফা ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। রোদের দেখা তেমন মিলছে না।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ডানার আঘাত আনার আগেই শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। এখানে উপস্থিত থাকবেন উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্কুল শিক্ষক সিপিপি কর্মী সহ ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ ,এমনটি জানিয়েছেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাস ।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, বুধবার গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এজন্য উপকূলীয় অঞ্চলে ২নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও বৃষ্টি হতে পারে।
শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় উপজেলার সরকারি ১০২টিসহ মোট ১৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য দুই হাজার ৯৮০ জন সিপিপি সদস্যসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন।
শ্যামনগরে কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও প্রিন্স রেজা বলেন, শ্যামনগরে ৩৬০ কিলোমিটারের মতো বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে ৮-৯টি পয়েন্ট বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া বেশ কিছু এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে কাজ চলছে।
শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় গাবুরা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম জানান সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়া চলছে। কপোতক্ষ নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া আমার ইউনিয়নের ৯ নং সোরা ও হরিশ খালি নামক স্থানে বেড়িবাঁধে ব্যাপক ফাটল ধরেছে। যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন এ অবস্থায় সুন্দরবনের কর্মরত জেলেরা নিরাপদ আশ্রয় অবস্থান করছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানান, পাউবো-১ এর আওতায় ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে তিন কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই।
শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহজ্ব সামিউল আজম মনির বলেন, ঘূর্ণিঝড় ডানা আতঙ্কে উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ মানুষ দিন পার করছে। এ অবস্থা যদি খারাপের দিকে যায় তাহলে তাদেরকে সাইক্লোন শেলটার সহ নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নিতে হবে।
এদিকে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার মসজিদ গুলোতে মাইকিং করে সাধারণ মানুষদেরকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
##