শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য হলেন সাবেক ছাত্রদলনেতা  এড. মাসুদুল আলম দোহা শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতা কাইয়ুমের নামে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

গাইবান্ধায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক বিশু নির্বাচিত।

ফয়সাল রহমান জনি
Update Time : শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

 

 

 

ফয়সাল রহমান জনি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।

 

 

গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং- রাজ ১০৭) ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে পুনরায় মো. আশরাফুল আলম বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. গৌতম কুমার চক্রবর্তী বিশু নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সদস্যসহ অন্যান্য সকল পদের ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে।

 

শনিবার সকালে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে শুক্রবার জেলা শহরের পুরাতন জেলখানা এলাকায় গাইবান্ধা বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

 

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এরপর বিভিন্ন পদের ব্যালট আলাদা করার পর শুরু হয় ভোট গণনা। শনিবার সকালে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

 

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদরুল আলমকে প্রধান কমিশনার করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিটি গঠিত করা হয়। এতে সহকারি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মনজুর আলম মিঠু, রফিকুল ইসলাম, শাহজালাল সরকার খোকন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রহমান, এম.এইচ মানিক, হাসিবুর রহমান লাবু ও এত্তাজুল ইসলাম।

 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদরুল আলম ভোরের আকাশকে জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় সকল ভোটার, প্রার্থী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

 

গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং-রাজ ১০৭) নির্বাচনে এবার ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৫০ জন। এরমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৫ হাজার ১২৯ জন ভোটার।

 

নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে ৫৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে সভাপতি ১টি পদের বিপরীতে ২ জন, কার্যকরী সভাপতি ১টি পদের বিপরীতে ৪ জন, সহসভাপতি ১টি পদের বিপরীতে ৬ জন, সাধারণ সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ২ জন, সহসাধারণ সম্পাদক ২টি পদের বিপরীতে ৪ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৩ জন, অর্থ সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৪ জন, সড়ক সম্পাদক ২টি পদের বিপরীতে ৬ জন, দপ্তর সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৩ জন, প্রচার সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৩ জন, ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১টি পদের বিপরীতে ৩ জন ও কার্যকরী সদস্য ৪টি পদের বিপরীতে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

 

সভাপতি পদে মাছ প্রতীকে মো. আশরাফুল আলম বাদশা ২ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্টিয়ারিং প্রতীকে মো. আব্দুর রশিদ সরদার পেয়েছেন ২ হাজার ১১৮ ভোট।

 

কার্যকরী সভাপতি পদে ফুটবল প্রতীকে মো. ময়নুল হক বি.এ ২ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোলাপফুল প্রতীকে মো. আমিনুর রহমান আমিন পেয়েছেন ১ হাজার ৩৬০ ভোট। সহ-সভাপতি পদে ছাতা প্রতীকে মো. আব্দুল মজিদ ১ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালা প্রতীকে মো. হিরু মিয়া পেয়েছেন ১ হাজার ১৫০ ভোট।

 

সাধারণ সম্পাদক পদে চাবি প্রতীকে এ্যাড. গৌতম কুমার চক্রবর্তী বিশু ২ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাতুড়ী প্রতীকে মো. জামিনুর রহমান জামিন পেয়েছেন ২ হাজার ৩৭৮ ভোট।

 

সহ-সাধারণ সম্পাদক এর ২টি পদে নির্বাচন করেছেন ৪জন প্রার্থী। এরমধ্যে বাস প্রতীকে ২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ এবং কেচি প্রতীকে মো. রওশন মিয়া ২ হাজার ৩৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাদের নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাজমহল প্রতীকে মো. হাসাবুল হাসান দিনার পেয়েছেন ১ হাজার ৮৭৫ ভোট।

 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে তলোয়ার প্রতীকে ১ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. শামীম রহমান শামীম। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঞ্জা প্রতীকে মো. মশিউর রহমান হীরা পেয়েছেন ১ হাজার ৫৮১ ভোট।

 

অর্থ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে একতারা প্রতীকে ২ হাজার ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আমজাদ হোসেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্লায়ার্স প্রতীকে মো. হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ১ হাজার ২২২ ভোট।

 

সড়ক সম্পাদক এর ২টি পদে নির্বাচন করেছেন ৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ট্রাক প্রতীকে ১ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আতিকুর রহমান এবং টেলিভিশন প্রতীকে মো. অহেদুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩৭ ভোট। তাদের নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে মো. সুমন মিয়া পেয়েছেন ১ হাজার ৪৩০ ভোট।

 

দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মাইক প্রতীকে ২ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মো. আশরাফুল আলম ফরিদ। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিক্সা প্রতীকে মো. ছলিম উদ্দিন সরকার সেলিম পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৫ ভোট।

 

প্রচার সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে করাত প্রতীকে ১ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. রাশেদুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চেয়ার প্রতীকে মো. নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৫৬২ ভোট।

 

ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন ৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে ১ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাবুল আহম্মেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বটগাছ প্রতীকে মো. আহসান হাবিব মন্ডল পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৫ ভোট।

 

এছাড়া কার্যকরী সদস্য’র ৪টি পদে লড়াই করেছেন ১৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে বেজী প্রতীকে ১ হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মুরাদ মিয়া, টায়ার প্রতীকে ১ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সজিব মিয়া, গাভী প্রতীকে ১ হাজার ৫৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু তাহের, পালকী প্রতীকে ১ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মুক্তার হোসেন।