সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল। তারনীপুর, ভেটখালী এলাকার পানি নিষ্কাষনের জন্য ঝুরঝুরি ও হীমখালী খালের সংযোগ স্থলে কালভার্ট নির্মানের জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তারনীপুর–ভেটখালী এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ও কালভার্ট দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কিশোরীর জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যৎ প্রকল্পে SRHR অ্যাক্সেস নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন- সভাপতি সাইফুদ্দিন, সম্পাদক নাঈম শ্যামনগরে জাতীয় প্রানি সম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে প্রানি সম্পদ প্রদর্দশনীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে  যাদবপুর উত্তর ফুলবাড়িয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়নের দাবিতে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি বর্ষিয়ন জননেতা মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদের সমর্থনে ধারা বাহিক ভাবে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ , শ্যামনগরে সাতক্ষীরা-ভেটখালী মহাসড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

সুন্দরবনে বনজীবীদের জীবন কাটে কাঁকড়া ধরে

এমন ডি আব্দুর রশিদ নান্টু
Update Time : সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

এম ডি আব্দুর রশিদ নান্টু

৯ বছর ধরে এই বনে কাঁকড়া মেরি বৌ, বাচ্চা নিয়ে বেঁচি আছি। পারিনি কোন ভারি কাজ করতি প্রতিবন্ধী বলে মানুষেরা কাজে নিতে চায় না। বিএলসিডা আছে বলে বনে কাঁকড়া মারতি পারি। তাই দিয়ে চাল, ডাল, কিনে কোন রকম আছি। বনে কাঁকড়া মেরি তাই সেই কাকড়া আমাদের খোড়লকাটি বাজারে বিক্রি করি। মনে অনেক স্বপ্ন আছে কিন্তু টাকার অভাবে পূরণ করতে পারিনি। বাড়ি থেকে বনে কাঁকড়া মারিতে যায় আবার বাড়ি আসি। নেই কোন জায়গা জমি, চাল কিনে খেতে হয়। বাড়ির পাশে সুন্দরবনটা আছে বলে বিএলসি পাশ কেটে বনে গিয়ে কাঁকড়া মারিতে পারি। তবে কাঁকড়া ভালোই পড়তেছে। যখন বন বন্ধ থাকে তখন খুব কষ্টে জীবন যাপন করতে হয়। ৩ মাস পরে বন খুলে দিচ্ছে বনে গিয়ে কাঁকড়া মেরি আমারা অনেক স্বস্তি পায়ছি। আজকে ১২০০টাকা কাঁকড়া বিক্রি করতে করছি, মঙ্গলবার বিকেলে নৌকায় বসে এভাবেই কথাগুলো বলেছিলেন কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর তেঁতুল তলার চরের বাসিন্দা মো. কামরুজ্জামান গাজী।

শুধু কামরুজ্জামান নয় তাদের মতো হাজারো মানুষ সুন্দরবনের মাছ কাঁকড়া মেরে জীবন যাপন করে।

এসময় কাকড়া ধরতে আসা মহেশ্বরীপুর গ্রামের আবু হানিফ, গোলাম রসুল, আরশাদ মোড়ল সহ একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুন্দরবনের কাকড়া ধরে জীবীকা নির্বাহ করেন তারা। টানা ৩ মাস বন্ধ থাকার পরে ১সেপ্টেম্বর থেকে পাশ নিয়ে গহীন সুন্দরবনে কাকড়া ধরছেন। এতে স্বস্তি দেখা দিছে তাদের মাঝে। তবে দিনে কাঁকড়া বিক্রি করে ১হাজারের বেশি টাকা ইনকাম হচ্ছে তাদের। তারা আরও বলেন, যখন সুন্দরবন বন্ধ থাকে সেসময় অতি কষ্টে জীবন যাপন করতে। অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে/সুদে নিয়ে সংসার চালাতে হয়।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়রা উপজেলার কাশিয়াবাদ, কোবাদক, বানিয়াখালী ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাশ পারমিট নিয়ে গহীন সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে বন জীবিরা। তাদের নিরাপত্তার জন্য বন বিভাগ নিয়মিত টহল জোরদার রেখেছে।

সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের আওতাধীন কাশিয়াবাদ ফরেস্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল বলেন, জুন, জুলাই, আগস্ট ৩মাস নিষেধাজ্ঞার পর থেকে সরকারি বিধি মোতাবেক মাছ, কাঁকড়া ধরার জন্য পাশ পারমিট স্টেশন থেকে নিয়ে গহীন সুন্দরবন প্রবেশ করেছেন বনজীবীরা তারা যেন ছোট প্রকৃতির মাছ ধরতে না পারে সেদিকে সতর্ক রাখা হয়েছে। বন বিভাগের নিয়মিত টহল চলমান আছে।