শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য হলেন সাবেক ছাত্রদলনেতা  এড. মাসুদুল আলম দোহা শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতা কাইয়ুমের নামে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

সুন্দরবন উপকূলে পরিত্যক্ত খোলস থেকে তৈরি হচ্ছে কাকড়া সার

এডভোকেট শহিদুল ইসলাম
Update Time : শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

এডভোকেট শহিদুল ইসলাম ,শ্যামনগর।

সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূলে রাতের আঁধারে মৎস্য ও কাকড়া চাষীদের কাকড়ার খোলস ফেলে দিতে হতো। যেখানে ফেলা হতো দুর্গন্ধের কারণে সেখানে কেউ টিকতে পারতো না। সেই খোলস থেকে এখন নির্মাণ হচ্ছে মূল্যবান ‘কাকড়া সার’।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় আছে তিন শতাধিক কাকড়া খামার। এখানে হার্ডসেল (শক্ত খোলসের) ও সফট সেল (নরম খোলসের) কাকড়া চাষাবাদ করা হয়। এখান থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ কাকড়ার খোলস বের হয়। কিন্তু সমস্যা হলোÑএই খোলস রাখা হবে কোথায়? তখন এর পথ দেখালেন নওয়াবেকী গ্রামের চাষী আসলাম হোসেন। ফেলনাকে বানালেন মূল্যবান সম্পদ।

আসলাম ছিলেন দরিদ্র মৎস্যচাষী। তবে এর সাথে তার বাড়িতে ছিল ছাঁদ বাগান। সেই ছাদ বাগানে তিনি বরাবরই দিতেন জৈব সার। এরপর তিনি পরীক্ষামূলকভাবে ওই ছাঁদ বাগানের গাছে দিতেন কাকড়ার খোলসগুড়ো করা সার। গাছগুলো হয়ে উঠলো লকলকে। এরপরই তিনি এ নিয়ে স্থানীয় এনজিও এনজিএফের সহায়তায় এগিয়ে যেতে থাকলেন। পরিত্যক্ত কাকড়ার খোলস আর বাড়িতের রান্নার তরিতরকারির বর্জ্য নিয়ে বানাতে থাকলেন কাকড়া সার।

কাকড়া সার স্থানীয় মৎস্যচাষীরা ঘেরে দিলেন, তাতেও উপকার পেতে থাকলেন। প্রথম দিকে দুই পাঁচজন করে করে ত্রিশটি ঘেরের চাষীরা ত্রিশটাকা কেজি দরে তুলনামূলক অনেক কম মূল্যে ওই কাকড়া সার দিয়ে অসামান্য উপকার পেলেন। এরপর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ পেয়ে এই সারের গুনবার্তা ছড়িয়ে পড়লো সর্বত্র।

এদিকে এই ক্রাব শেল পাউডার যা এলাকায় কাকড়া সার নামে পরিচিত সেই সারের উদ্ভাবক আসলাম হোসেন বলেন, তিনি এই সার বিক্রি করে এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন। মাসে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করছেন এই সার বিক্রি করে।

প্রসঙ্গত, আসলাম হোসেনের দেখাদেখি আরও ৫জন উদ্যোক্তা এই ক্রাব শেল পাউডার যা এলাকায় কাকড়া সার তৈরী করছে এবং ব্যবসা করছে। সবাই এটিকে বড় কৃষি অর্থনৈতিক খাত বলেও মনে করছেন।