শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
বাঘারপাড়া (যশোর) থেকে প্রদীপ বিশ্বাস।
বাঘারপাড়ায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে
আহত ও শহিদদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এবং
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের পরিবারের
সদস্যবৃন্দ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
স্মরণসভায় জেলা প্রশাসক তঁার বক্তব্যে বলেন, ফ্যসিবাদের পতন ঘটাতে একজন মা তঁার নিজের সন্তানকে
হাসিমুখে অভ্যুত্থানে যেতে সাহস জুগিয়েছেন। বিগত সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবই একজন
মায়ের এমন সাহসি ভূমিকা তৈরি হয়েছে। তাই বর্তমান বাংলাদেশকে চিনতে হলে আগে মাকে চিনতে
হবে। আন্দোলনে যে সকল পরিবারের একমাত্র সন্তান শহিদ হয়েছেন সেই পরিবারের সাথে নিজের পরিবারকে
দাড় করিয়ে একবার ভেবে দেখেন, তাদের কি অবস্থা। স্মরণসভায় তিনি আরও বলেন, যারা পাহাড়সম দুনর্ীতি
করে সম্পদ বানিয়েছেন, তারা এখন ভোগ করতে পারছেন না। পৃথিবীতে পালিয়ে যাওয়া কোনো স্বৈরাচার
দ্বিতীবার আর ক্ষমতায় আসেনি।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন সরকারের সভাপতিত্বে এদিন এবং উপজেলা সমাজসেবা
কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের সঞ্চালনায় এদিন আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক অতিরিক্ত সচিব বীর
মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম, বিএনপির কেন্দ্রীয়
কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, জামায়াতের
উপজেলা আমীর মাও. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি হেলালু
ইসলাম, বন্দবীলা ইউপি চেয়ারম্যান সব্দুল হোসেন খঁান, আন্দোলনে আহত মিলন মোল্যা, ছাত্র
প্রতিনিধি আরিফ ফয়সাল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তহুরা হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারি
কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ মিয়া, বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি তানিয়া রহমানসহ বিভিন্ন
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এর আগে ছাতিয়ানতলা গার্লস স্কুল এন্ড ইউনাইটেড কলেজে কিশোরিদের সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ ও
চেক বিতরণ করেন এবং বাঘারপাড়া থানা পরিদর্শণ করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম