রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
শ্যামনগরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগ অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য হলেন সাবেক ছাত্রদলনেতা  এড. মাসুদুল আলম দোহা
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

নড়াইলে চাঞ্চল্যকর আমেনা বেগম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন আসামী গ্রেফতার

উজ্জ্বল রায়
Update Time : রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন

 

 

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

নড়াইল সদর থানাধীন বিছালী গ্রামের চাঞ্চল্যকর আমেনা বেগম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার। গত ৪ আগস্ট নড়াইল সদর থানাধীন বিছালী গ্রামে আমেনা বেগম (৫৭), স্বামী মোঃ মনির হোসেন মোল্যা নিজ বাড়ীতে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। উক্ত ঘটনায় নড়াইল সদর থানার মামলা নং-০২, তারিখ ১২/০৮/২০২৪ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার করার জন্য নড়াইল জেলা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। অতঃপর

মন্গবার ১২.৩০ মিনিটের সময় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সাজেদুল ইসলাম এবং এসআই (নিঃ) মোঃ সেলিম মহালদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ আসিফ মোল্যা (১৯), পিতা-মোঃ বাবর আলী মোল্যা, সাং-বিছালী, থানা ও জেলা-নড়াইলকে অভিযান পরিচালনা করে তার নিজ এলাকা হতে গ্রেফতার করে। এছাড়া ভিকটিম আমেনা বেগম এর লুষ্ঠিত মোবাইল ফোনটি তার হেফাজত হতে জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, ভিকটিম মৃত আমেনা বেগম সম্পর্কে আসামী আসিফ মোল্যার গ্রাম্য দাদী হয়। ভিকটিম আমেনার পরিবারের সাথে আসামীর পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। বিজ্ঞ আদালতে উক্ত বিষয় নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরেও ভিকটিম আসামীদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। গত ২৮/৭/ ভিকটিম আমেনা বেগম আসামীদের বাড়িতে যায় এবং আসামীর মায়ের নামে তিনি আজেবাজে কথা বলেন এবং গালিগালাজ করেন। তখন আসামী আসিফ খুব কষ্ট পায়। গত ২/০৮/ ভিকটিমের হাঁস চুরি হলে আসামীকে চোরের অপবাদ দেয়। উক্ত ঘটনায় আসামীর মা আসামীকে মারপিট শুরু করে। এতে আসামীর অনেক রাগ হয়। এসব কারণে আসামী মোঃ আসিফ মোল্লা(২১) গত ৪/০৮/ রাত আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটের সময় আসামী ভিকটিমের বাড়িতে যায়। তখন গেটে তালা দেওয়া ছিল। আসামী আসিফ ভিকটিম আমেনা বেগমকে দাদী বলে ডাক দিলে তিনি গেইটের তালা খুলে দেয়। তারপর আসামী ঘরের ভিতরে যায়। তখন ভিকটিম বলে যে, “তুই বসতিথাক আমি কয়ডা ভাত খেয়ে নিই।ভিকটিম ভাত খাওয়ার পর বলেন যে, “আমি শুয়ে পড়ব, অনেক রাত হইছে। তুই আরেকটু বস, তখন আসামী আসিফ পিছন থেকে তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেঁচিয়ে ধরে। কিছুক্ষণ পরে তিনি আস্তে আস্তে নিশ্বাস নিচ্ছিল। তারপর আসামী ভিকটিমকে তার পরনের শাড়ি দিয়ে গলায় আবার পেঁচিয়ে ধরে এবং শ্বাস রোধ করে মেরে ফেলে। আসামী ভিকটিমের ব্যবহৃত আইটেল কোম্পানির

মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায়। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।