সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল। তারনীপুর, ভেটখালী এলাকার পানি নিষ্কাষনের জন্য ঝুরঝুরি ও হীমখালী খালের সংযোগ স্থলে কালভার্ট নির্মানের জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তারনীপুর–ভেটখালী এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ও কালভার্ট দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কিশোরীর জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যৎ প্রকল্পে SRHR অ্যাক্সেস নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন- সভাপতি সাইফুদ্দিন, সম্পাদক নাঈম শ্যামনগরে জাতীয় প্রানি সম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে প্রানি সম্পদ প্রদর্দশনীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে  যাদবপুর উত্তর ফুলবাড়িয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়নের দাবিতে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি বর্ষিয়ন জননেতা মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদের সমর্থনে ধারা বাহিক ভাবে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ , শ্যামনগরে সাতক্ষীরা-ভেটখালী মহাসড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি, পুজোয় কবে মিলবে পদ্মার রুপোলি শস্য  

মনির হোসেন
Update Time : সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

 

 

 

 

 

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:

প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসতে থাকে। তবে এবার অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে। ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন ভারত। ইলিশ রফতানির জন্য় আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে।

 

এবার ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পুজো মানেই খাওয়া দাওয়া। পুজো মানেই ইলিশ মাছ। আর ইলিশ মাছ মানেই সেই পদ্মার ইলিশ। কিন্তু এবার পুজোর আগে কি বাংলাদেশের ইলিশ এপার বাংলায় আসবে? এই প্রশ্ন ওঠাটা এবার সঙ্গত। কারণ এবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রতিবার শেখ হাসিনা সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন। তবে এবার পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। এবার হাসিনা আর সরকারে নেই। বাংলাদেশ ছেড়েও চলে গিয়েছেন। ইলিশ কি আসবে এপার বাংলায় ভারতে

 

গত ৫ বছর ধরে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন।

 

এদিকে বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা ও অসমে যায় বাংলাদেশের ইলিশ। বছর ভর এপার বাংলার মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। আর বাংলাদেশের ইলিশ হলে পুজো একেবারে জমে যায়। গত বছরও ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছিল বাংলাদেশ থেকে। তবে এবার কতটা ইলিশ আসবে, আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।

 

অনেকের মতে অন্তর্বর্তী সরকার আসার আগে থেকেই বাংলাদেশে ভারত বিরোধী হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। তবে এবার সেই হাওয়া কি ইলিশের উপরেও পড়বে? এসব নিয়ে চর্চা একেবারে তুঙ্গে।

 

 

তবে দাম যতই বেশি হোক অনেকেই বাংলাদেশের ইলিশ কিনে থাকেন। অনেকের কাছে বাংলাদেশের ইলিশ ছাড়া যেন উৎসব সম্পূর্ণ হয় না। অনেকে আবার যাঁরা শেকড় ছিঁড়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন তাঁদের কাছে এই পদ্মার ইলিশ যেন কিছুক্ষণের জন্য ফেলে আসা ভিটে মাটির সোঁদা গন্ধ বয়ে আনে।

 

তবে এবার প্রশ্ন ইলিশ আসবে কি না বাংলাদেশ থেকে? কতটা ইলিশ আসবে? সেই ইলিশের দাম কি মধ্য়বিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে? পুজোর আগে আসবে নাকি তার দিনের কোনও পরিবর্তন হবে?

 

এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে পদ্মার ইলিশ এপারে এলে খুশি হন মৎস্যব্যবসায়ীরাও। কারণ এই ইলিশ বিক্রি করে লাভ অনেকটাই হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।