সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল। তারনীপুর, ভেটখালী এলাকার পানি নিষ্কাষনের জন্য ঝুরঝুরি ও হীমখালী খালের সংযোগ স্থলে কালভার্ট নির্মানের জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তারনীপুর–ভেটখালী এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ও কালভার্ট দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কিশোরীর জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যৎ প্রকল্পে SRHR অ্যাক্সেস নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন- সভাপতি সাইফুদ্দিন, সম্পাদক নাঈম শ্যামনগরে জাতীয় প্রানি সম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে প্রানি সম্পদ প্রদর্দশনীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে  যাদবপুর উত্তর ফুলবাড়িয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়নের দাবিতে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি বর্ষিয়ন জননেতা মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদের সমর্থনে ধারা বাহিক ভাবে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ , শ্যামনগরে সাতক্ষীরা-ভেটখালী মহাসড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

সুন্দরবনের কেওড়া ফলটি উপকূলী এলাকায় মানুষের প্রিয় খাদ্য

Reporter Name
Update Time : সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

 

 

মজনু এলাহি, সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে।।

সুন্দরবন অঞ্চলের সবচেয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত গাছ কেওড়া লবণাক্ত মাটিতে জন্মায়। সারি সারি সবুজে ভরা কেওড়া গাছ দেখলে সবারই নজর কাড়বে। সুন্দরবন ঘেঁষা নদনদী, খালের চরগুলোতে ব্যাপক হারে কেওড়া গাছ জন্মে। কেওড়া ফলে আপেল ও কমলার তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। সুন্দরবনের বানর ও হরিণের প্রিয় খাবার এই কেওড়া ফল। সুন্দরবনের হাজার হাজার বানর ও হরিণ এই ফল খেয়ে জীবনধারণ করে। সুন্দরবনের হরিণ আর বানরের উপাদেয় খাদ্য হলেও বহু বছর আগে থেকে মানুষ ও মাছের খাদ্য হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় কেওড়া ফলের চাষ ও বাণিজ্যিকীকরণ হলে অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। কেওড়া ফল উপকূলের প্রান্তিক জনসাধারণের বাড়তি আয়ের উৎস। কেওড়া ফলটি টক; কিন্তু স্বাদযুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করে অনেক পরিবারের রুটিরুজির ব্যবস্থা হয়। উপকূলীয় অর্থনীতিতে কেওড়া ফল নতুন মাত্রা আনতে পারে। পরিবেশবিধ শাহীন ইসলাম বলেন, উপকূলীয় এলাকার অনাবাদী লবণাক্ত জমিতে কেওড়া ফলটি ব্যাপকভাবে জন্মানোর উদ্যোগ নিলে প্রান্তিক জনগণের বাড়তি আয়ের উৎস হবে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে এবং উপকূলীয় পরিবেশের গুণগত মানের উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন তিনি। চলতি মৌসুমে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে কেওড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে ফলে ভরে গেছে প্রতিটি গাছ। শ্রাবণ মাস থেকে কার্তিক-অগ্রায়ন মাস পর্যন্ত এই ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছে গাছে প্রচুর ফল ধরে। এ সময় এলাকার হাট-বাজারগুলোতে কেওড়া ফল কিনতে পাওয়া যায়। প্রতি কেজি কেওড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। কেওড়া গাছের সরলপাতা বিপরীতমুখী, ফুল উভলিঙ্গ। ফল প্রায় গোলাকৃতির এবং ব্যাস ২ থেকে ৩ মিলিমিটার। এর পাতা জিওল গাছের পাতার মতো সরু লম্বাটে। ছোট ছোট হলুদ বর্ণের ফুল হয়। এ ফুলের মধুও সুস্বাদু। একটি ফলে বীজের সংখ্যা ২৫ থেকে ১২৫টি। কেওড়া ফলের আকৃতি ডুমুরের মতো। সবুজ রঙের ফলের ওপরের মাংসল অংশটুটু টক স্বাদের। ভেতরে বেশ বড় বীচি। কেওড়া গাছ পরিবেশের ভারসাম্য যেমন রক্ষা করে, তেমনি উপকূলীয় অঞ্চলের রক্ষাকবচ হিসেবেও কাজ করে। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় জেলাগুলোর লোকজন কেওড়া ফলের সঙ্গে ছোট চিংড়ি মাছ ও মসুরির ডাল রান্না করে থাকে। তাছাড়া কেওড়া ফল থেকে আচার ও চাটনি তৈরি করা হয়। কেওড়া ফল পেটের অসুখের চিকিৎসায় বিশেষত বদহজমে ব্যবহৃত হয়। নতুন জৈব-বর্জ্য সমৃদ্ধ, মোটামুটি বা অধিক লবণযুক্ত মাটিতে এ গাছ ভালো জন্মায়। বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও চীনের বনাঞ্চলে এই গাছ দেখা যায়। কেওড়া চার প্রকারের। এর মধ্যে ওড়া ও কেওড়া বাংলাদেশে পাওয়া যায়। বাকিদের মধ্যে অ্যালবা বোনটা শ্রীলঙ্কায় হয়, আর ওভাটা দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ায়।

মজনু এলাহিশ্যা

মনগর সাতক্ষীর।