সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল। তারনীপুর, ভেটখালী এলাকার পানি নিষ্কাষনের জন্য ঝুরঝুরি ও হীমখালী খালের সংযোগ স্থলে কালভার্ট নির্মানের জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তারনীপুর–ভেটখালী এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ও কালভার্ট দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কিশোরীর জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যৎ প্রকল্পে SRHR অ্যাক্সেস নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন- সভাপতি সাইফুদ্দিন, সম্পাদক নাঈম শ্যামনগরে জাতীয় প্রানি সম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে প্রানি সম্পদ প্রদর্দশনীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে  যাদবপুর উত্তর ফুলবাড়িয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়নের দাবিতে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি বর্ষিয়ন জননেতা মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদের সমর্থনে ধারা বাহিক ভাবে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ , শ্যামনগরে সাতক্ষীরা-ভেটখালী মহাসড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

শ্যামনগরে আর এফ কিউ দশ লাখ টাকা প্রকল্পের কাজ-ভাগ বাটোয়ারা করতে যেয়ে ধরা খেলেন উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা

Reporter Name
Update Time : সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন

ডেক্স রিপোর্ট ভয়েস অফ সুন্দরবন।।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১০ লাখ টাকা আরএফ কিউ প্রকল্পের ভাগ বাটোয়ারা ধরা পড়লে সিডিউল বিজ্ঞপ্তি পরিবর্তন করে পূর্ণ তারিখ ঘোষণা করে এড়িয়ে গেলেন, শ্যামনগরের আলোচিত উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন।
 সাবেক এমপি এসএম আতাউল হক দোলনের আশীর্বাদপুষ্ট বিতর্কিত ঠিকাদার শাহিন ইসলাম এখনো উপজেলা প্রকৌশলী অফিস কে জিম্মি করে পূর্বের ন্যায় বিভিন্ন প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে শ্যামনগর ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির একাধিক ঠিকাদার ও এলাকার সচেতন মহল বলেন, শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসকে ম্যানেজ করে ঠিকাদার শাহীন কোটি কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিয়েছে।
সু চতুর ঠিকাদার শাহীন সাবেক এমপিও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে স্বক্ষতা রেখে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেনের সাথে শেয়ারে কাজ করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
সেই থেকে উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনের সাথে শাহীন এর রয়েছে ব্যাপক সখ্যতা, দেশের পদ পরিবর্তন হলেও এখনো উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসটি রয়েছে পূর্বের সেই ধারায়।  ঠিকাদার শাহিন সহ কালীগঞ্জ উপজেলার কিছু ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্যামনগরের আলোচিত উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা।
শ্যামনগর উপজেলার উন্নয়ন প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
শ্যামনগরে কোটি কোটি টাকার কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে এবং কতিপয় ঠিকাদারদের সহযোগিতা করে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাকির হোসেন কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এছাড়া উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাকির হোসেন প্রায় অর্ধ শতাধিক আর এফ কিউ প্রকল্প উপরোক্ত ঠিকাদার শাহিনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে একটি বিতর্কিত স্থানে নিজেকে অবস্থিত রেখেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ঠিকাদাররা দের সাথে কথা হলে তারা বলেন অফিসের খাতা পাত্র দেখলে বোঝা যাবে কোন ঠিকাদার কতটুকু সহযোগিতা পেয়েছে এবং উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর মাধ্যমে আর এফ কেউ প্রকল্পের কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের আকাশলীনা ইকো পার্কের অভ্যন্তরে একটি বিনোদন কেন্দ্র কাম কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য গত ৭ নভেম্বর একটি কোটেশন বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করা হয়। ওই স্থাপনাটি নির্মাণের জন্য ১০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। সেখানে সম্পূর্ণ গোপনভাবে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য রবিবার (১৭ নভেম্বর) উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সিনিয়ার ঠিকাদার আশেক- ই এলাহি মুন্না এর প্রতিবাদ করলে  তাৎক্ষণিক ভাবে  উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন ওই কোটেশন বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে পুনরায় রবিবার (১৭ নভেম্বর) অন্য একটি কোটেশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ১৭ নভেম্বর কোটেশন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু আগেই নোটিশ বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিটি চুরি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে ঠিকাদাররা আপত্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করে। তবে সেটি মিমাংসা হয়ে গেছে।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে সাবেক ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন তার দলীয় নেতা কর্মীদের কথা বলতে পারছেন না। যার কারণে পূর্বের ন্যায় গুটিকয়েক ঠিকাদারকে এখনো পর্যন্ত কাজ পাইয়ে দিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত আছেন তিনি।
শ্যামনগরের সচেতন মহল দ্রুত এই কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেছেন, অন্যথায় তারা মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান সহ অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানানো হয়েছে ভয়েস অফ সুন্দরবনকে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া আলোচিত উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আরও তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ হতে যাচ্ছে।