মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

রিপোর্ট : ভয়েস অফ সুন্দরবন
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশনের কথিত ক্যাশিয়ার আতিয়ার রহমান এলাকায় কতিপয় দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিময় ও ঘুষ বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিশ্চয়ই এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে।
দালালদের মাধ্যমে হরিণ নিধন, গাছ কাটা ও হরিনগর সিহরতলী থেকে মুন্সিগঞ্জ বন টহল ফাড়ি পর্যন্ত নদীতে প্রতি জোয়ারে সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ ৪০/৪৫টি বেনতি জাল ধরার সুযোগ দিয়ে প্রতি জোয়ারে ৯০ থেকে এক লক্ষ টাকা আদায় করে। যার কারণে কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানকে ডিভিশন ট্রান্সফার করে যশোর সামাজিক বিভাগে বদলি করা হয়েছে। অথচ যার হাত দ্বারা উৎকোচ গ্রহণ করা হয়েছে উক্ত স্টেশনের কথিত ক্যাশিয়ার আতিয়ার রহমান রয়েছে বহাল তবিয়তে। স্টেশন কর্মকতা আসাদুজ্জামান চলে যাওয়ার পরও কথিত ক্যাশিয়ার আতিয়ার রহমান পূর্বের নিয়মে সুন্দরবন ধ্বংসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। এলাকাবাসী বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিনে তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সহকারী নবাগত বন সংরক্ষণ হাছানুর রহমান এর মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমার রেঞ্জে কোন অনিয়ম দুর্নীতি চলবে না। কোন স্টেশনে দালাল চক্র থাকবে না। এদিকে সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেনকে ম্যানেজ করে উক্ত ক্যশিয়ার আতিয়ার রহমান ও মাসুম মোল্লা চালিয়ে যাচ্ছে গোন ওয়ারি কালেকশন। এদিকে মাসুম মোল্লা ও আতিয়ার রহমান নটাবেকি ও হলদেবুনিয়া অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ও কাঁকড়া ধরা জেলেদের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করছেন এমন অভিযোগ রয়েছে জেলেদের। এদিকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্য পুষ্পকাটি, নটাবেকি, হলদেবুনিয়া সহ অভয়ারণ্য এলাকার খাল গুলোতে জেলেদের মাছও কাঁকড়া ধরার সুযোগ করে দিয়ে বন কর্মচারীরা হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার সচেতন মহল বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।