সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল। তারনীপুর, ভেটখালী এলাকার পানি নিষ্কাষনের জন্য ঝুরঝুরি ও হীমখালী খালের সংযোগ স্থলে কালভার্ট নির্মানের জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তারনীপুর–ভেটখালী এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ও কালভার্ট দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কিশোরীর জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যৎ প্রকল্পে SRHR অ্যাক্সেস নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন- সভাপতি সাইফুদ্দিন, সম্পাদক নাঈম শ্যামনগরে জাতীয় প্রানি সম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে প্রানি সম্পদ প্রদর্দশনীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে  যাদবপুর উত্তর ফুলবাড়িয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়নের দাবিতে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি বর্ষিয়ন জননেতা মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদের সমর্থনে ধারা বাহিক ভাবে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ , শ্যামনগরে সাতক্ষীরা-ভেটখালী মহাসড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

মামলার বাদী নিজেই অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টের আসামি, ঘুরছে প্রকাশ্যে!

স ম জিয়াউর রহমান
Update Time : সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

 

 

রিপোর্ট: স ম জিয়াউর রহমান

 

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভু্ক্ত পলাতক এক আসামি। তিনি এলাকায় নয়, রীতিমত থানায় এসেই ক্ষমতার দাপট দেখান। পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করে উল্টো তার একটি মামলা থানায় রেকর্ড করে এলাকার নিরীহ মানুষকে হয়রানির ফাঁদ পেতেছে। তার অহেতুক হয়রাণী মূলক মিথ্যা মামলার ভয়ে বর্তমানে গ্রেফতারের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে উপজেলার অসংখ্য নিরীহ মানুষ। উপজেলার কচুয়ায় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ বকসুর পুত্র অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোহাম্মদ বাবু তালুকদার চলতি মাসের ৫ অক্টোবর পটিয়া থানায় স্বশরীরে গিয়ে ৬৯ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের ধারায় একটি মামলা করেন। মামলা নং ১২। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে ৭০ জনকে। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা আত্মগোপনে চলে গেলেও থানা পুলিশ অতি উৎসাহিত হয়ে নিরীহ মানুষ ধরে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে আদালতে পাঠাচ্ছে। যা খুবই অমানবিক ও এক প্রকার নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগ। পুলিশের এই ধরনের কর্মকান্ড অন্তবর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট ও নিরীহ জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) এক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বলেছেন, যারা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাম্প্রতিক সময়ে যারা নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করছে, টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য মামলার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনার পরও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পটিয়া প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা প্রণব বড়ুয়া অর্নবকে আটক করে ৪টি মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে চালান দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে জামিন না দেওয়ায় সাংবাদিক নেতাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয় । অথচ এ সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ইতোপুর্বে কোন জিডি পর্যন্ত ছিল না বলে তার বড় ভাই বাবুল কান্তি বড়ুয়া জানান৷

পুলিশ ও হয়রানির শিকার পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কচুয়ায় ইউনিয়নের মোহাম্মদ বাবু তালুকদারের বিরুদ্ধে পটিয়া থানার পিসিপিআর মতে অস্ত্র ও চাদাঁবাজিসহ মারামারির পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। অস্ত্র মামলা থেকে রেহাই পেতে মো: বাবু বিএনপির নাম ভাঙিয়ে সে থানায় গিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক আইনে একটি মামলাও করেন। অথচ বিএনপির দায়িত্বশীলরা বলছেন সে তাদের দলের কেউ নয়। অস্ত্র আইনের এ মামলাটি বর্তমানে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন। ট্রাইবুনাল মামলা নং ২৪/২৩। যার ওয়ারেন্ট কপি পটিয়া থানায় পড়ে রয়েছে। থানায় ওয়ারেন্ট কপি থাকার পরও সে কিভাবে মামলা করেছেন, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে এ মামলাটি হয়। পটিয়া থানার মামলা নং- ২৭(১২)। তাছাড়া ২০১৬ সালে মারামারি, চাঁদাবাজির আরো একটি মামলা রের্কড হয়। মামলা নং ২০।

পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন, বিগত ১৫ বছরে পটিয়া বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে আওয়ামী লীগ। কোন নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়টি থানা পুলিশকে ইতোমধ্যে দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পটিয়া থানার একজন এসআই জানিয়েছেন, মোহাম্মদ বাবুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় থানায় একটি ওয়ারেন্ট দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে। তবে কি কারনে গ্রেফতার করা হচ্ছে তা তিনি জানেন না।

এ বিষয়ে জানতে পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নুরকে বারবার ফোন করেও কোন বক্তব্য পাওয়া নি।