রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
সাতক্ষীরা- ৪ প্রার্থী মনিরুজ্জামানে পৃষ্ঠপোষকতায় দুই বিএনপি নেতার কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ।  শ্যামনগর উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্স-এর আয়োজনে দোয়া মাহফিল ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ শ্যামনগরে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের উপকরণ বিতরণ   ৬ নম্বর রমজান নগর ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি অফিস উদ্বোধন ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রিতীর অভিযোগ উঠেছে  শ্যামনগরে স্টোকহোল্ডারস প্লাটফর্ম গঠন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরের ইট ভাটা শ্রমিক সুজন গাজীর এক সপ্তাহ থেকে কোন খোজ পাচ্ছে না পরিবার শ্যামনগরে ভুমিহীন পরিবারের জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন, এঘটনায় আহত -২ শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম–দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় 
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

বেনাপোলের গোল্ড নাসিরসহ দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

মনির হোসেন
Update Time : রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

 

 

 

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:-যশোরের রাজারহাট থেকে প্রায় নয় কেজি ওজনের ৬০টি স্বর্ণের বারসহ একটি প্রাইভেটকার ফেলে পালানোর ঘটনায় জড়িত ছিলেন বেনাপোলের একাধিক মামলার আসামি গোল্ড নাসির ও গাড়ির মালিক শফিক। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। সিআইডি পুলিশ ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের মৃত বুদো সরদারের ছেলে নাসিরুদ্দিন ওরফে গোল্ড নাসির ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পাঁচগাছিয়া গ্রামের মোবারকের ছেলে শফিক। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন সিআইডি পুলিশের ঢাকার ইন্সপেক্টর আশরাফুল ইসলাম। তদন্তে উঠে আসে রাজারহাট থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সোনা ছিলো নাসিরের। এছাড়া ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন শফিক নিজে।

 

 

মামলা সূত্রে যানা যায়, স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্টো-গ-৩৫-৯৫৭৭) ঢাকা থেকে যশোরে আসছে বলে গোপন সংবাদে জানতে পারে বিজিবি। তাৎক্ষণিক খুলনা সেক্টরের অধীনস্ত যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এবং খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) যশোরের রাজারহাট এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবির গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তা ধাওয়া করে। বিজিবিকে দেখে ওই প্রাইভেটকার ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা। পরে বিজিবি বিশেষ কায়দায় লোকানো অবস্থায় ওই গাড়ি থেকে প্রায় নয় কেজি ওজনের ৬০টি সোনার বার উদ্ধার করে। তৎকালীন সময়ে যার দাম ছিল আট কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এঘটনায় যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের হাবিলদার জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্তে নামে সিআইডি পুলিশের বিশেষ টিম। তারা গাড়ির কাগজপত্র বাছাই করে মালিকের সন্ধানে নামেন। অনুসন্ধানে উঠে আসে, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর শাহ আলম নামের একজনের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কেনেন শফিক। এরপর শফিকের নাম্বার সংগ্রহ করে কললিস্ট যাচাই বাছাই করেন। এরমাঝে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নাসির অস্ত্র, গুলিসহ আটক হন গোল্ড নাসির। পরে নাসিরের সাথে শফিকের সম্পৃক্ততা পায় সিআইডি পুলিশ। এমনকী ঘটনার আগে তাদের দুজনের সাথে ৪৪ বার মোবাইলে কথা হয়। সেসব কললিস্ট ও অবস্থানের সার্বিক অনুসন্ধানে উঠে আসে ওই সোনার চোরাচালানের সাথে জড়িত হচ্ছে নাসির ও শফিক। এ বিষয়ে শফিককে একাধিকবার নোটিশ দিলেও কর্ণপাত করেন না তিনি।

 

মামলাটি তদন্ত করে ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে সিআইডি পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়।

 

এদিকে, স্থানীয়রা জানান গোল্ড নাসিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জামিনে বের হয়ে ফের অস্ত্র-সোনাসহ নানা ধরণের অবৈধ ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছেন। রাজনীতির ভোলপাল্টে তিনি এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া প্রায় তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসতে দেখা যাচ্ছে। এমনকী যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েকজনের সাথে তার দহরম মহরম সৃষ্টি হয়েছে। যা নিয়ে কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে নানা গুঞ্জন চলছে।#