শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৩:১২ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য হলেন সাবেক ছাত্রদলনেতা  এড. মাসুদুল আলম দোহা শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতা কাইয়ুমের নামে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

ঠাকুরগাঁওয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ।

মো: মজিবর রহমান শেখ 
Update Time : শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৩:১২ অপরাহ্ন

 

 

মো: মজিবর রহমান শেখ

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ফজলে কাদের চৌধুরী বাচ্চুকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা । মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টায় মোলানী বাজারে এই ঘটনা ঘটলে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বিক্ষুব্ধ হয় শিক্ষার্থীরা । এ সময় হাতে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সড়কে নেমে সুষ্ঠু বিচারের জন্য আন্দোলন করে তারা।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে আসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলে কাদের চৌধুরী বাচ্চু। প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেনের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলে দায়িত্ব পান তিনি। ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে স্কুলে আসার পথে স্থানীয় কয়েকজন পথ‌রোধ করে তাকে মারধর করে। পথে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলে কাদের চৌধুরী বাচ্চু জানান, স্কুলে আসার পথে তারা আমাকে থামিয়ে লাঞ্চিত ও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। কি কারনে এবং কারা মারধর করে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্কুলে কম্পিউটার অপারেটর, ল্যাব অপারেটর ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তারা মারধর করে। তবে এসব বিষয়ে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেন ভালো জানেন। কারা মারধর করে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্থানীয় আফাজ উদ্দিন, সমীরত উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, জবাইদুর রহমান, আনারুল ইসলাম, শ‌ইদুল ইসলাম সহ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। পরে আমার স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়রা আমাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে কাছে নিয়ে যায়। এদের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ বিভিন্ন শিক্ষকদের পিছনে লেগে আছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবি করছি। স্থানীয়রা জানায়, স্কুল চলাকালীন সময়ে একজন শিক্ষককে এভাবে লাঞ্চিত ও মারধর করা মোটেও কাম্য নয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই এবং বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। অপরদিকে শিক্ষার্থীরা জানান, স্যার ৩০ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন। উনি আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক। স্যারের সাথে এরকম ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচার না হলে পরবর্তীতে অন্যান্য শিক্ষকদের এভাবে লাঞ্ছিত হতে হবে। তাই আমরা চাই প্রশাসন যাতে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্বারা হেনস্তার বিষয়টি শুনেছি। উনাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।