শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য হলেন সাবেক ছাত্রদলনেতা  এড. মাসুদুল আলম দোহা শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতা কাইয়ুমের নামে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

সাঘাটায় যৌথবাহিনীর অভিযান  ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৫, মৃত্যু ২

ফয়সাল রহমান জনি
Update Time : শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন

 

 

ফয়সাল রহমান জনি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।

গাইবান্ধার সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন সুইটসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। আহতদের মধ্যে সোহরাব হোসেন আপেল ও শফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার ভোররাতে যৌথবাহিনী সাঘাটার গোবিন্দী গ্রামে অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেন সুইট, সোহরাব হোসেন আপেল, শফিকুল ইসলাম, বাশহাটা গ্রামের সাহাদৎ হোসেন পলাশ ও উত্তর সাথালিয়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম রকিকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছে অস্ত্র উদ্ধারে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় এবং কয়েকটি দেশীয় ছোরা ও রামদা উদ্ধার করে। সকালে গ্রেফতারকৃতদের সাঘাটা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।

এসময় গ্রেফতারকৃতরা অসুস্থ হয়ে পড়লে থানা পুলিশ সকালে সাঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শফিকুল ইসলাম ও রিয়াজুল ইসলাম পলাশকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্যদের গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে। বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে শফিকুল ইসলাম ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে সুইট চেয়ারম্যানের ভাতিজা সোহরাব হোসেন আপেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

নিহত স্বজনদের দাবি গ্রেফতার পর শারীরিক নির্যাতনের ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে তারা আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানা গেছে। তবে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় এখনও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোশারফ হোসেন সুইট জানান, অস্ত্র উদ্ধারের নামে আমার ভাতিজা, বাড়ির কাজের ছেলেসহ আটকদের আমার জিম্মায় দিবে বলে লিখিত নেয়। এরপর কয়েকঘণ্টা চলে অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনের ফলে ভাতিজা আপেল ও কাজের ছেলে শফিকুলের মৃত্যু হয়েছে।

সাঘাটা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অসুস্থ হওয়ায় দু’জনকে বগুড়া হাসপাতালে ও চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গাইবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর তারা অসুস্থ হয়ে পরে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মাহবুব হোসেন জানান, ময়না তদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যু প্রকৃত কারণ।