শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য হলেন সাবেক ছাত্রদলনেতা  এড. মাসুদুল আলম দোহা শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতা কাইয়ুমের নামে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

ডুমুরিয়ায় গাছ আলু চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন কৃষকরা

শেখ মাহতাব হোসেন
Update Time : শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ন

 

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।

কন্দাল জাতীয় ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গাছআলু প্রদর্শনী। ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে মাচা পদ্ধতিতে গাছ আলু চাষ। সাধারণ মানুষের অধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই গাছ আলু চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন স্থানীয় কৃষকরা। ৭২ শতাংশ জমিতে গাছ আলু চাষ করে বাজিমাৎ করেছেন চাষি সুমন কুমার দাশ।

গাছ আলু আঞ্চলিক ভাষায় ‘মেটে আলু’ কিংবা ‘গড়আলু’ হিসাবে পরিচিত। এক সময় বসত ভিটা আনাচে-কানাচে একটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। কালের বিবর্তনে নিরাপদ এই খাদ্য এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।

তবে আশার কথা হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় এই গাছ আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রদর্শনী প্লটে চাষ হওয়া এই গাছ আলুতে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষকরা।

এরই মধ্যে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সুমন কুমার দাশের প্রদর্শনী খেত।

ডুমুরিয়া উপজেলা শরাফপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে একজন কৃষি উদ্যোক্তা সুমন কুমার দাশ ৭২ শতাংশ জমিতে ‘গাছ আলু’ চাষ করেছেন। মাচা পদ্ধতিতে চাষ করা এই আলু গাছে একেকটি আলু ২ থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। বাজারে এই আলু ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এপ্রিল মাসে শুরু করেছিলেন প্রদর্শনী প্লেট। ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ করে এ পর্যন্ত আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা আয় করেছেন। এখনও গাছে অবশিষ্ট যে আলু আছে ২/৩ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান চাষি চাষী।

জানা গেছে, খাবারের সঙ্গে নিয়মিত এই আলু খেলে হার্ট ভালো হয় এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়।

চাষি সুমন কুমার দাশ বলেন, আমি ডুমুরিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা করুণা মন্ডলের পরামর্শ নিয়ে মেটে আলুর চাষ করি।

এ আলু চাষে যে কোন গাছের গোঁড়ায় একটু দূরে রোপণ করলে আস্তে আস্তে ওই গাছ বেয়ে উপরে উঠে আলু ধরতে থাকে।

আলু গাছ রোপণের মাস তিনেক পর থেকেই গাছে আলু ধরতে শুরু করে। গাছের ডগায় ও মাটির নিচে গোড়ায় আলু হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছরই আলু ধরে। প্রতিটি গাছে প্রতি সাজে আট থেকে ১০ কেজি আলু পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, কৃষি বিভাগের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষক সুমনের একটি প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এ উপজেলায় মাচার উপর গাছ আলু চাষ কৃষকরা করতেন না। এবার প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনেকেই গাছ আলু চাষে কৃষক লাভবান হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, গাছ আলুর পুষ্টি গুণ ও বাজারে চাহিদা ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া গাছ আলুর একই মাচাতে সাথী ফসল হিসেবে করলা, ধুন্দল, ঝিঙ্গা, চাল কুমড়া মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি ফসল ও চাষ করেও কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তাই আগামীতে এ পদ্ধতিতে সারা উপজেলায় গাছ আলু চাষ বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ মাহতাব হোসেন।

ডুমুরিয়া খুলনা।

মোবাইল নাম্বার ০১৭১১৩৬৪৪৩১