সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল। তারনীপুর, ভেটখালী এলাকার পানি নিষ্কাষনের জন্য ঝুরঝুরি ও হীমখালী খালের সংযোগ স্থলে কালভার্ট নির্মানের জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তারনীপুর–ভেটখালী এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ও কালভার্ট দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কিশোরীর জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যৎ প্রকল্পে SRHR অ্যাক্সেস নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন- সভাপতি সাইফুদ্দিন, সম্পাদক নাঈম শ্যামনগরে জাতীয় প্রানি সম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে প্রানি সম্পদ প্রদর্দশনীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে  যাদবপুর উত্তর ফুলবাড়িয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়নের দাবিতে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি বর্ষিয়ন জননেতা মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদের সমর্থনে ধারা বাহিক ভাবে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ , শ্যামনগরে সাতক্ষীরা-ভেটখালী মহাসড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

স্থলবন্দর বেনাপোলে দুই উপপরিচালক বরখাস্ত

মনির হোসেন
Update Time : সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

 

 

মনির হোসেন , বেনাপোল প্রতিনিধি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের দুই উপপরিচালককে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দপ্তরের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার প্রভৃতি কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি সোমবার ২সেপ্টেম্বর জানাজানি হয়।

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ওজনে ডিজিটাল কারসাজি করে শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই আমদানিকারকদের পণ্য আনার সুযোগ করে কোটি কোটি টাকা কামাই করেছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুল ইসলাম এবং উপ-পরিচালক মো. কবির খান গং।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মনিরুল ইসলাম ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন- মর্মে তিনি নিজেকে পরিচয় দিতেন। এই পরিচয়ে তিনি লাগামহীন দুর্নীতি করে বারবার পার পেয়ে যান। তার অত্যাচারে অফিসে সবাই তটস্থ থাকতেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, মো. মনিরুল ইসলাম ২০২২ সালের ১ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে যোগ দেন। সেই সময় থেকেই তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানিকৃত প্যারিশেবল (পচনশীল) পণ্য ওজনে ডিজিটাল কারচুপি শুরু করেন। ভারত থেকে সেই সময় প্রতিদিন গড়ে একশ থেকে দেড়শ ট্রাক ওই পচনশীল পণ্য যেমন– মাছ, ফল, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, টমেটো, আলু ইত্যাদি আসত।

কাস্টমসের কতিপয় কর্মকর্তা ও কতিপয় অসাধু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীর যোগসাজশে ওজন স্কেলে ডিজিটালি কারচুপি করে (ওজন স্কেলের সফটওয়্যারের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে) প্রতি ট্রাকে প্রতিদিন দুই থেকে তিন টন পণ্যের ওজন কম দেখানো হতো।

প্রতি টন পণ্যের শুল্কায়ন ৮০ থেকে এক লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিত ওই চক্র। আর ফাঁকি দেওয়া সেই রাজস্ব তিনটি জায়গায় আনুপাতিক হারে বণ্টন হতো। এভাবে প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ওই অসাধু চক্র।

সূত্র জানায়, মো. মনিরুল ইসলাম বেনাপোল থেকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া টাকার একটি অংশ পৌঁছে দিতেন উপ-পরিচালক কবির খানের কাছে। তাদের যোগসাজশে এই চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল; কিন্তু তাদের সেই অপকর্ম প্রকাশ হয়ে পড়লে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয় সংশ্লিষ্ট দফতর।

গত ২১ আগস্ট বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়, ওজন স্কেলে কারচুপির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন, দুর্নীতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং, অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার ইত্যাদির কারণে উপপরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুল ইসলাম এবং উপপরিচালক (প্লানিং) মো. কবির খানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের সবারই উচিত বেনাপোল স্থলবন্দরকে বাঁচান।