শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না সাতক্ষীরা থেকে।
সাতক্ষীরা শহরে ১৩ জন ওএমএস ডিলারের মধ্যে আটজন ও এম এস ডিলারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফলে হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে মহা বিপাকে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে জানা যায়, সরকার কর্তৃক অসহায় দুস্থ দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা করে খোলা বাজারে ওএম এস ডিলারের মাধ্যমে একজন মানুষ পাঁচ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা সাশ্রয় মূল্যে কিনতে পারবে,চাউলের কেজি ৩০ টাকা ও আটার কেজি ২২ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ভোর পাঁচটা থেকে এইসব শ্রমজীবী মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বেলা ৯ টায় ডিলারের মাধ্যমে এক এক জন ৫ কেজি চাউল ও ৫ কেজি আটা ক্রয় করে। আবার অধিকাংশ মানুষ চাউল বা আটা না পেয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। কারণ একজন ডিলার ১৮০ জন মানুষকে চাল এবং আটা দিবে কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে তিন থেকে ৪০০ মানুষ বাকি মানুষগুলো ফিরে চলে যায়। এক্ষেত্রে এই শ্রমজীবী মানুষগুলো বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিন্তু বরাদ্দ না বাড়িয়ে ৮ জন ডিলারের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তাদের দাবি তের জন ডিলারের মাধ্যমে মালামাল দেওয়ার দাবি জানান তারা।
সাতক্ষীরা শহরের কলেজ রোড এলাকার বৃদ্ধা মঞ্জিলা জানান আমি হাটতে পারি না কষ্ট করে কাছাকাছি এই ডিলার এর কাছে এসে মাল নি। আমি এখন অন্য জায়গায় গেলেও তো মাল পাবোনা কারণ ওখানে তো ২০০ জনের জায়গায় ৬ থেকে৭শত লোক হবে।লাইনে দাড়িও মাল পাবোনা।
শহরের মন্দির পুরে বাবু বলেন আমরা মঞ্জিতপুরের এই ডিলারের কাছ থেকে প্রতিদিন লাইনের লাইনে দাঁড়িয়ে চাল এবং আটা তুলি তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। আমরা এখন কার কাছ থেকে মাল নিব, অন্য জায়গায় গেলে তো আমরা মাল পাবোনা । আমাদের ক্ষতি হয়ে গেল।
হাজার হাজার খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে মহা বিপাকে।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ও এম এস পাঁচজন ডিলার সাতক্ষীরা শহরে মালামাল দিবে।
আইয়ুব স্টোর,মহাসিন স্টোর, খালিদ এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই স্টোর আলাউদ্দিন ট্রেডার্স
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ শেখ রিয়াজ কামাল রনি বলেন আমরা ১৩ জন ডিলারের মধ্যে পাঁচজনকে চাউল আটা বরাদ্দ দিচ্ছি, কিন্তু পর্যায়ক্রমে ১৩ জনকেই বরাদ্দ দিব।এক প্রশ্নের জবাবে বলেন বরাদ্দ বারিয়ে দিব। তিনি আরো বলেন আগেতো ৬ জন ডিলার ছিল, এই ৬ জন ডিলারের মাধ্যমে খেটে খাওয়া মানুষরা আটাও চাল ক্রয় করতো।