সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
মানবতার দীপ্ত যাত্রা সংগঠনের উদ্যোগে অসহায় দুস্থ ও ভাসমান মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ কাশিমাড়ী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত।  শ্যামনগরে উপবৃত্তির অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ  তথ্য সংগ্রকালে সাংবাদিকদের হেনস্তা আটুলিয়ায় ছাত্রদলের শুভেচ্ছা মিছিল  গোবিন্দপুর আবু হানিফ এ এইচ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজ ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত নওয়াবেঁকী বাজারে ধান বিক্রির টাকা চাইতে গিয়ে ব্যাপারী শফিকুলের উপর হামলা, থানায় অভিযোগ শ্যামনগরে চাচার দায়ের কোপে হাত ভাঙলো ভাতিজা  যুবকের,থানায় মামলা শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত শ্যামনগরে এস এস সি ৯৫ ব্যাচের বন্ধু রাজের আত্বার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

দেশের স্বাধীনতার সাথে সম্পৃক্ত ঐতিহাসিক একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার মতো ঘৃণ্য ও জঘন্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ 

স ম জিয়াউর রহমান
Update Time : সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

 

 

 

স ম জিয়াউর রহমান :

অসাংবিধানিক ও অবৈধ তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই ঘৃণ্য ও নেককারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, যে সংগঠন বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের সাথে যে ছাত্র সংগঠনের নাম জড়িয়ে আছে, সেই সংগঠনকে একটি অসাংবিধানিক ও অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে – জাতির জন্য এ এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা- এক নির্মম পরিহাস। এটি বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির নির্মম প্রতিশোধ।

 

বাঙালি জাতির পিতা ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টিতে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ কাজে লাগিয়েছিলেন, ছাত্রলীগ তাদের অন্যতম। স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস’।

 

বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি এই সংগঠন সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালির অধিকার আদায়, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং সর্বোপরি মুক্তি সংগ্রামের সৈনিক হিসেবে অবদান রাখার জন্য। একটি রাষ্ট্রের জন্মের সাথে এভাবে যুক্ত থাকার মতো সৌভাগ্য পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোন ছাত্র সংগঠনের সৌভাগ্য হয়নি। ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে সপরিবারে জাতির পিতা কে হত্যার পর এদেশের গণতন্ত্রের সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে। এরকম একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে অসাংবিধানিক ও অবৈধ তথাকথিত অন্তবর্তী সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটি মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর এক বড় আঘাত।

 

১৫ জুলাই থেকে ঢাকা সহ সারাদেশে ছাত্র-পুলিশ-আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সহ অসংখ্য মানুষকে যারা হত্যা করল, যে হত্যাকান্ড আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গণহত্যার পর্যায় পড়ে, সেই হত্যাকারীদের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার দায়মুক্তি দিল। আর ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা কর্মী যেখানে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হল, সেই ছাত্রলীগকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো! অসাংবিধানিক ও বেআইনি কোন গোষ্ঠীর আইনগত ও নৈতিক অধিকার নেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার। তাদের এই সিদ্ধান্ত অবৈধ।

 

তারা দেশের সকল থানায় আক্রমণ করে গর্ভবতী নারী পুলিশ সহ হাজার হাজার পুলিশকে হত্যা করেছে। লক্ষ লক্ষ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সমর্থক এবং হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ভাই বোনদের উপর নিপীড়ন চালিয়েছে।

 

দেশব্যাপী জাতির বিবেক শিক্ষকদের উপর ‌ চলেছে ব্যাপক নির্যাতন। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। মানুষ আজ না খেয়ে মরছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ এই অবৈধ অপশক্তির অপশাসন থেকে মুক্তি চাচ্ছে। প্রতিটি মুহূর্ত তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক।

 

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনে করে, এদেশে সকল অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামী ছাত্র সমাজের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই ছাত্রলীগকে এই অসাংবিধানিক ও অবৈধ গোষ্ঠী তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে এক হুমকি হিসেবে দেখছে।

 

৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে লেখা এই পবিত্র সংবিধান লংঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী ছাত্রলীগের মতো দেশের স্বাধীনতার সাথে সম্পৃক্ত ঐতিহাসিক একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার মতো ঘৃণ্য ও জঘন্য কর্মকান্ডের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।