সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
মানবতার দীপ্ত যাত্রা সংগঠনের উদ্যোগে অসহায় দুস্থ ও ভাসমান মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ কাশিমাড়ী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত।  শ্যামনগরে উপবৃত্তির অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ  তথ্য সংগ্রকালে সাংবাদিকদের হেনস্তা আটুলিয়ায় ছাত্রদলের শুভেচ্ছা মিছিল  গোবিন্দপুর আবু হানিফ এ এইচ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজ ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত নওয়াবেঁকী বাজারে ধান বিক্রির টাকা চাইতে গিয়ে ব্যাপারী শফিকুলের উপর হামলা, থানায় অভিযোগ শ্যামনগরে চাচার দায়ের কোপে হাত ভাঙলো ভাতিজা  যুবকের,থানায় মামলা শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত শ্যামনগরে এস এস সি ৯৫ ব্যাচের বন্ধু রাজের আত্বার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

গোপালগঞ্জের পাইককান্দি প্রতিবন্ধী শান্ত, পরিবারের প্রতারণার হাতিয়ার – এ অভিযোগে ভুক্তভোগীর

মোঃ শিহাব উদ্দিন
Update Time : সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

 

 

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ।

 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের তৌফিক সিকদার ও তার পরিবার ছেলে শান্ত(১৪)এই প্রতিবন্ধীতাকে ব্যবহার করে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এক পরিবার। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে প্রতিবন্ধী ছেলেকে দিয়ে চুরি করায়, ধরা পড়লে চুরির জিনিস ফেরত না দিয়ে উলটো বিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জরিমানা আদায় করে। শান্ত প্রতিবন্দীতাকেই তার পরিবার প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যপারে পাইককান্দি বাজারের ব্যবসায়ী আকবর সরদারের ছেলে রিফাত সরদার নামক এক ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, গত ১৬ আগস্ট শুক্রবার আমার বাবা দোকান ঘর থেকে বেরিয়ে ডিম আনতে যায়, সে ফিরে এসে ক্যাশ বক্সে টাকা না দেখতে পেয়ে খোজা খুঁজি করার সময় আমাদের মসজিদের হুজুর প্রতিবন্ধী শান্তকে আমাদের দোকান থেকে বের হতে দেখেছে বলে জানান। দোকানে কাউকে না দেখে সুযোগ বুঝে বুদ্ধিমান প্রতিবন্ধী শান্ত দোকানে ঢুকে ক্যাশবাক্স থেকে টাকা নেয়। বাবা রাতে এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে ওদের বাড়িতে যায়। শান্ত ঘরের ভিতরে ছিল কিন্তু তার মা ছেলে বাড়িতে নেই বলে জানান। কিছুক্ষণ পরে আবার এসে ওকে তার ঘরের মধ্যেই পাওয়া যায়।

প্রথমে শান্ত টাকা নেওয়ার কথাটা অস্বীকার করে, হুজুর তাকে দেখে ফেলেছে শুনে সে স্বীকার করে টাকাটা ঘরে রাখে নাই, অন্য কোথাও রেখেছে বলে সম্মতি প্রকাশ করে।পরে সকলে তাকে নিয়ে টাকার সন্ধানে বের হলে সে আমাদের দোকানে নিয়ে তোশকের নিচে রেখেছে বলে জানায়। ওখানে গিয়ে না পেয়ে আমার বাবা স্থানীয় মুরব্বিদের ডেকে সালিশ সভা বসায়। সালিশির সিদ্ধান্ত মোতাবেক চুরি হওয়া ২২ হাজার টাকার মধ্যে ১১ হাজার টাকা ফেরত দিতে রাজি হয় প্রতিবন্দীর পরিবার। ২দিন পর টাকা চাইতে গেলে শান্তর মা জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকার করেন। পরে শান্তর পরিবার ছেলেকে মারধর করে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অসুস্থ করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে পৌঁছানো এবং বলেন ওর ছেলে বিষ খেয়েছে। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে ওয়াশের জন্য প্রেরণ করেন। ওয়াশ করার পর তার শরীরে বিষের আলামত না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি বিভাগের উপস্থিত ডাক্তারের তথ্য অনুযায়ী প্রকৃত সনদ প্রেরণ করেন। ওরা হাসপাতালের মেডিকেল সার্টিফিকেট মামলার উপযোগী করতে না পেরে দুঃসম্পর্কের আত্মীয় কিছু সাংবাদিকদের ভুল তথ্য প্রদান করে গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করান। ওরা ওদের প্রতিবন্ধী ছেলেকে দেখিয়ে ঘটনার ১১ দিন পর মামলা দায়ের করে। তিনি আরো বলেন, এই প্রতিবন্ধী ছেলে আগেও একই গ্রামের এক খামারির ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা চুরি করেছে। এ ব্যপারে এলাকাবাসী অবগত আছে।শান্ত সিকদারের পরিবারের আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার কারণে আমি ও আমার পরিবার ভোগান্তিতে আছি।

প্রশাসনের নিকট আমার একটাই দাবি ব্যপারটি আমলে নিয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক ।

চুরির ঘটনা প্রতিবন্ধী ছেলের নাম একাধিক বার হওয়ায় ব্যাপারটির গভীর তদন্তের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করছি। ব্যপারটি আমলে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।