শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য হলেন সাবেক ছাত্রদলনেতা  এড. মাসুদুল আলম দোহা শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতা কাইয়ুমের নামে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

পটুয়াখালীতে ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা

মোঃ মামুন খান
Update Time : শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন

 

 

 

মোঃ মামুন খান বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি

 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাসাবাড়িতে, কলকারখানায় ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিলে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। ত্রুটিপূর্ণ ওই বিল সংশোধনের জন্য এখন তাদের স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে ধরনা দিতে হচ্ছে। একদিকে ঘনঘন লোডশেডিং অন্যদিকে ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

 

কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া থানায় গ্রাহকের সংখ্যা ৪৫-৫০ হাজার। গ্রাহকদের অভিযোগ, উপজেলাজুড়ে চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং থাকায় তুলনামূলক বিদ্যুৎ কম ব্যবহার হয়েছে। তবুও দুই মাস ধরে দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে বিদ্যুৎ বিল আসছে। লাগামহীন বিদ্যুৎ বিলে ভুক্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

 

এদিকে প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক বিল সংশোধনের অভিযোগ নিয়ে অফিসে যাচ্ছন। ভুতুড়ে বিল প্রসঙ্গে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব জোনাল অফিসে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। উল্টো অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মতো করে গ্রাহককে বোঝাচ্ছেন। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রাহকের সঙ্গে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হচ্ছে।

 

বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ করে পৌরসভার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান খান বলেন, মে মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ১ হাজার ১৮৬ টাকা, জুলাই মাসে ১ হাজার ৯৩৫ টাকা। আগস্টে আমাদের এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ লোডশেডিং ছিল, অথচ এ মাসে বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিক ৩ হাজার ২৭৮ টাকা। বিদ্যুৎ যেখানে ঠিকমতো পাওয়া যায়নি, সেখানে এমন অস্বাভাবিক বিল কীভাবে হয়।

 

 

কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল এ জি এম মো. ইমরান শেখ বলেন, গ্রাহক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, সেভাবেই বিলও তৈরি হয়। অতিরিক্ত বিল নেওয়া কোনো সুযোগ নেই। মৌখিকভাবে বেশি কিছু অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।