সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
মানবতার দীপ্ত যাত্রা সংগঠনের উদ্যোগে অসহায় দুস্থ ও ভাসমান মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ কাশিমাড়ী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত।  শ্যামনগরে উপবৃত্তির অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ  তথ্য সংগ্রকালে সাংবাদিকদের হেনস্তা আটুলিয়ায় ছাত্রদলের শুভেচ্ছা মিছিল  গোবিন্দপুর আবু হানিফ এ এইচ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজ ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত নওয়াবেঁকী বাজারে ধান বিক্রির টাকা চাইতে গিয়ে ব্যাপারী শফিকুলের উপর হামলা, থানায় অভিযোগ শ্যামনগরে চাচার দায়ের কোপে হাত ভাঙলো ভাতিজা  যুবকের,থানায় মামলা শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত শ্যামনগরে এস এস সি ৯৫ ব্যাচের বন্ধু রাজের আত্বার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

বরিশাল শেবাচিমের বার্ন ইউনিট বন্ধের পথে

মোঃ মামুন খান
Update Time : সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন

বরিশাল শেবাচিমের বার্ন ইউনিট বন্ধের পথে

বরিশাল প্রতিবেদক মোঃ মামুন খান

বরিশাল বিভাগের একমাত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসা হতো শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম)। এই বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১০০ রোগীকে সেবা দিতেন একমাত্র চিকিৎসক ডা. মারুফুল ইসলাম। তবে গত ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে তাকে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ফলে চিকিৎসক শূন্য হয়ে যাওয়ায় বার্ন ইউনিটটি বন্ধের পথে। এতে এই অঞ্চলের আগুনে পোড়া রোগীদের সেবা নিতে যেতে হবে ঢাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০২১ সালে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযানে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া যাত্রীদের সেবা দিতে এই চিকিৎসককে শেবাচিম হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছিল। এরপর থেকেই বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করেই চলতো বার্ন ইউনিটটি। এবার তাকে বদলি করায় দুর্ভোগে পড়তে হবে আগুনে পোড়া রোগীদের।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, এখানে বরিশাল বিভাগ ছাড়াও পাশের কয়েকটি জেলা থেকে রোগীরা এই হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার আশায় আসেন। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসক সংকটে চলছিল এই সেবা কার্যক্রম। তাতে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলতো না বলে অভিযোগ ছিল রোগীদের। এরই মধ্যে ওই ইউনিটে দায়িত্বপ্রাপ্ত একমাত্র চিকিৎসককে বদলি করায় চরম দুর্ভোগে পড়বে দক্ষিণাঞ্চলের আগুনে পোড়া রোগী।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। মারুফুল সাহেব শুধু এই হাসপাতাল নয়, পুরো বরিশাল বিভাগে বার্নের একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। তিনি চলে যাওয়ায় চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’

বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা বলেন, ‘যেহেতু একজনের বদলি হয়েছে, তাই তার স্থানে আরেকজন বিশেষজ্ঞ আসবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সেটি না হলে কর্তৃপক্ষের এই ভুল সিদ্ধান্তের ফলে রোগীদের এখন ভোগান্তি পোহাতে হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১২ মার্চ মেডিকেলের পুরাতন ভবনের নিচতলার পূর্বদিকে আটটি বেড নিয়ে বার্ন ইউনিটের পথচলা শুরু হয়। নারী ও পুরুষ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে সেখানে আটজন চিকিৎসক ও ১৬ নার্সের পদ রাখা হয়। এরপর ওই ওয়ার্ডটিকে ১০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও রোগীদের চাপ সামাল দিতে ৩০-৩২টি বেড সরবরাহ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।