রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
সাতক্ষীরা- ৪ প্রার্থী মনিরুজ্জামানে পৃষ্ঠপোষকতায় দুই বিএনপি নেতার কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ।  শ্যামনগর উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্স-এর আয়োজনে দোয়া মাহফিল ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ শ্যামনগরে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের উপকরণ বিতরণ   ৬ নম্বর রমজান নগর ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি অফিস উদ্বোধন ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রিতীর অভিযোগ উঠেছে  শ্যামনগরে স্টোকহোল্ডারস প্লাটফর্ম গঠন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরের ইট ভাটা শ্রমিক সুজন গাজীর এক সপ্তাহ থেকে কোন খোজ পাচ্ছে না পরিবার শ্যামনগরে ভুমিহীন পরিবারের জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন, এঘটনায় আহত -২ শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম–দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় 
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ে সাংবাদিকের বাড়ীতে চুরি, থানায় অভিযোগ

Reporter Name
Update Time : রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে এক গণমাধ্যমকর্মীর বাড়ীতে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ল্যাপটপ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়েছে চোরদল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে কোনো এক সময় চোরদল সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা দৈনিক ভোরের সমাচার পত্রিকার সাংবাদিক সম্রাট আকবরের বাড়ীর জানালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটায়। রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ সুজন। দৈনিক ভোরের সমাচার পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সম্রাট আকবর বলেন, হাউজিং এ আমি আর আমার খালাতো ভাই থাকি। খালাতো ভাই চিটাগাংরোডে কসমেটিকস এর ব্যবসা করে এবং পড়াশুনা করে। শুক্রবার দোকানের বেচাকেনা শেষ করে পরীক্ষা দিতে চলে যায় খালাতো ভাই। আমি শনিবার রাতে এক ভাইয়ের বাসা থাকি। সকালে আমার বাড়ীতে এসে দেখি জানালা ভাঙ্গা এবং ঘরের মালামাল এলোমেলো। পরে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ীতে খালাতো ভাই এসে দেখে তার ল্যাপটপ ও দোকানের বেচাকেনার ২৫ হাজার টাকা এবং ২ টা মোবাইল ফোন নেই। পরে বিষয়টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাংবাদিক সম্রাট আকবর আরও বলেন, হাউজিং এলাকায় কিছু দিন পরপর চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু ভুক্তভোগিরা ভয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়া সাহস পাচ্ছেনা। কারন এই চোরগুলো এলাকার তাই চোররা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চোরদের গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাউজিং এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বিভিন্ন জেলার মানুষেরা হাউজিং এলাকায় জমি কিনে বাড়ী করেছে। ২ শত থেকে ৩ শত বাড়ী আছে। দারোয়ানের বেতন বাবদ প্রতিমাসে প্রতিটি বাড়ীর মালিক থেকে ৫ শত টাকা করে চাঁদা আদায় করেন কমিটির লোকজন। হাউজিং এর কমিটির লোকজন মাত্র ৫ জন দারোয়ান রেখেছেন। দারোয়ান থাকা অবস্থায় যদি পর পর বিভিন্ন বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটে তাহলে বিষয়টি রহস্যজনক। এই চোরদের জ্বালায় হাউজিং এলাকার বাসিন্দার অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এই চোরদের ধরলেই তাদের গডফাদারদেরও ধরা যাবে। তারা আরও বলেন, হাউজিং এলাকার নতুন কমিটি হওয়ার পর থেকে চুরি, ছিনতাই, মাদক বিক্রি, ইভটিজিং সহ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। তাই এসব অপরাধীদের ধরতে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উক্ত বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক বলেন, চুরির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চোরদের গ্রেফতার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। খুব দ্রুত চোরদের আইনের আওতায় আনা হবে।