
ভয়েস অফ সুন্দরবন।
দীর্ঘদিন ধরে শ্যামনগর সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার জুড়ে সুপ্রিয় পানিবাগ খাবার পানির মহাসংকট চলছে। সুপ্রিয় পানি সংকট নিরসনকল্পে সরকারিভাবে এই এলাকায় বৃষ্টির পানি ধারণ করার লক্ষ্যে পানির ট্যাঙ্কি বিতরণ করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পটি গত ২০২২ সাল থেকে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে, এটি সরকারি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের মাধ্যমে এই পানির ট্যাংকি গুলো সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে সরকারি একটি ফি নিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে বরাবরই সরকারি ফির ৩ গুণ টাকা নেওয়া হয় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এমন অভিযোগ রয়েছে শত শত।

শ্যামনগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা বলে তিনি বলেন এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজারের উপরে পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে এবং এটি চলমান রয়েছে। এদিকে পানির ট্যাংকির সাথে সরবরাহ করা হয়ে থাকে ইট ,বালু ,ও ইটের খোয়া। এ বিষয়ে কথা হয় ভ্যানচালক রবিউল ইসলামের সাথে, তার সাথে কথা বলে জানা যায় ভাটা থেকে সবচাইতে নিম্নমানের অর্থাৎ তিন নম্বর ইট নিয়ে আসেন প্রতিদিন তারা, ভ্যানচালক সাইফুল ইসলাম বলেন ,আমরা প্রতিদিন শ্যামনগরের বিভিন্ন ভাটা থেকে তিন নম্বর ইট নিয়ে আসি এবং এ ইট গুলো এনে জনসাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের সামনে রাখা হয়, পরে ওখান থেকে বিভিন্ন সাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। ইটের খোয়াভাঙ্গা শ্রমিক মোমিন আলী বলেন, আমরা প্রায় আদলা ইট ও তিন নম্বর ইটের খোয়া ভেঙে দিয়ে থাকি, যেগুলা ট্যাংকির ঠিকাদার যারা আছেন তারা নিয়ে সাইটে দিয়ে থাকেন। প্রত্যেকটি ট্যাংকির অনুকূলে তিন শতাধিক ইট ১০ ফুট বালি পাসপোর্ট খোয়া দেওয়া হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। তবে এগুলো একেবারেই নির্মমমানের। শ্যামনগরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এর অধীনে ট্যাংকি বিতরণ প্রকল্পের চারজন ঠিকাদার এমন কাজ শুরু থেকেই করে যাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রকাশ্য ও সহযোগিতায় এমন অভিযোগ এলাকার সচেতন মহলের। তিন নম্বর ইট ,খোয়া ও নিম্নমানের বালি সরবরাহ করে যেমন ঠিকাদার লাভবান হচ্ছেন অন্যদিকে জনসাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ও হচ্ছেন লাভবান। ব্যাপক অনিয়ম ,দুর্নীতির মাধ্যমে ঠিকাদার ও কর্মকর্তা মিলে চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি এর কার্যক্রম। সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা হাজার হাজার টাকা। সরে জমিনে গেলে এবং প্রায় উপজেলা জনসাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের সামনে এই তিন নম্বর ইট ঝাপানো থাকে সেটি দেখা যাবে। বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলে তিনি বলেন, শ্যামনগরের চারজন ঠিকাদার ট্যাংকি বিতরণ ও গোড়া পাকা করুন কাজের সাথে সম্পৃক্ত, তবে তারা এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করছে কিনা সেটি অবশ্যই দেখা হবে এবং অনিয়ম থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
##