শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট: স ম জিয়াউর
শ্যামনগর সাতক্ষীরা থেকে।। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন বেড়িবাঁধে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ গুলোর মধ্যে রয়েছে গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নং সোরা, হরিশখালি, জেলেখালি, দৃষ্টিনন্দন, কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন, বৈশখালী, ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন, নৈকটি এলাকার নতুনহাট সংলগ্ন, পূর্ব কৈখালী, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটি, রমজান নগর ইউনিয়নের গোলাখালি, টেংরাখালি, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বাজার, সেন্ট্রাল কালিনগর, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী সহ কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানা সম্পর্কে কৈখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, আমার ইউনিয়নের বেরিবাদের ৩ থেকে ৪টি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ, ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নের ১৭টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রেখেছি।
শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় উপজেলার সরকারি ১০২টিসহ মোট ১৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য দুই হাজার ৯৮০ জন সিপিপি সদস্যসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানান, পাউবো-১ এর আওতায় ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে তিন কিলোমিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রস্তুতি নিয়ে শ্যামনগরে কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিও ইমরান হোসেন জানান, তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করার জন্য তিন হাজার জিও বস্তা, দুই হাজার প্লাস্টিক বস্তা, ১০ জিও রোল প্রস্তুত আছে। এগুলো দিয়ে এক কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার করা যাবে।
এদিকে ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাসের সভাপতিত্বে এক জরুরী দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাস বলেন, আমি ইতিমধ্যে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অধিকাংশ এলাকা পরিদর্শন করেন