শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য হলেন সাবেক ছাত্রদলনেতা  এড. মাসুদুল আলম দোহা শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতা কাইয়ুমের নামে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

ডেঙ্গুতে ২ মাসে ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮ শতাধিক

Reporter Name
Update Time : শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ‘মৃত্যু আতঙ্ক’ বিরাজ করছে। মাত্র দুই মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ও ডেঙ্গু শকড সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে সাতজনের মৃত্যু হওয়ায় জনমনে এ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মৃতের তালিকায় দুই বছরের কম বয়সের ছোট্ট শিশু, তরুণ-তরুণী, গৃহবধূ এমনকি চিকিৎসকও রয়েছেন। এ সময়ে সাড়ে ৮ শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন।

গত ৫০ দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করেছে মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাননি। যখন তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তখন অনেক বিলম্ব হয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা করিয়েও তাদের মৃত্যু ঠেকানো যায়নি। শুধু তাই

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মৃতদের অনেকেই এর আগেও এক বা একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে ঘরে বসে না থেকে চিকিৎসক কিংবা নিকটের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বরে যে কয়েকজন মারা গেছেন, তাদের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে রোগতত্ত্ববিদরা আলাপ করে জেনেছেন, তারা প্রথমে নিজেরা বাসাতে অবস্থান করে হাতুড়ে ডাক্তার কিংবা পাড়া-মহল্লার ফার্মাসিস্টদের পরামর্শে ওষুধ খেয়েছেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। কিন্তু ততক্ষণে ডেঙ্গু জ্বরের সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। তাই জ্বর হলে নিজেরা সিদ্ধান্ত না নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না, তা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বের করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয় তা প্রায় সবার জানা আছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে তীব্র জ্বর, মাংসপেশী ও হাড়ে ব্যথা হয়। এ ছাড়া কোথায় কোথায় ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়, তা-ও সবার জানা। কিন্তু সব জেনেও অনেকেই অসচেতন। অনেকে নিজ বাড়ির আঙিনায়, ফুলের টব, ফ্রিজ ও এসিতে জমে থাকা পানি না ফেলে জমিয়ে রাখেন। তাই সেখানে এডিস মশা জম্মে।’ এ সময় তিনি বলেন, মানুষের অভ্যাস দূর করা খুব সহজ কাজ নয়।

ডা. সাবরিনা জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু মূল সচেতনতা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদেরকেই নিতে হবে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মোট ৯৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে জানুয়ারিতে ২৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৭ জন, মার্চে ৫ জন, এপ্রিলে ১৪, মে মাসে ৩৫, জুনে ২৬৭ ও ২৫ জুলাই পর্যন্ত ৫৯০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মোট আটজন মারা গেছেন। মৃতরা হলেন নার্গিস বেগম (৪৩), ফারজানা আক্তার (৩৪), রোজলিন বৈদ্য (৩১), সেজুতি (২৬) আরইয়ান (১ বছর ৭ মাস) হিমু (৮), তাহমিদ (৯) ও ডা. ফয়সাল বিল্লাহ (২৭)।