শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রিডা হাসপাতালে ফ্রি নাক–কান–গলা মেডিকেল ক্যাম্পে শত শত মানুষের সেবা শ্যামনগরে বনাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো মহান বিজয় দিবস  রিডা হাসপাতালে ফ্রি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল ক্যাম্প ও হেলথ কার্ড বিতরণ সাতক্ষীরা- ৪ প্রার্থী মনিরুজ্জামানে পৃষ্ঠপোষকতায় দুই বিএনপি নেতার কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ।  শ্যামনগর উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্স-এর আয়োজনে দোয়া মাহফিল ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ শ্যামনগরে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের উপকরণ বিতরণ   ৬ নম্বর রমজান নগর ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি অফিস উদ্বোধন ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রিতীর অভিযোগ উঠেছে  শ্যামনগরে স্টোকহোল্ডারস প্লাটফর্ম গঠন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরের ইট ভাটা শ্রমিক সুজন গাজীর এক সপ্তাহ থেকে কোন খোজ পাচ্ছে না পরিবার
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

ফুলকোচা আলেয়া আজম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ 

মোঃ রুহুল আমিন রাজু
Update Time : শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

 

 

মোঃ রুহুল আমিন রাজু জামালপুরঃ জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৭নং চরবানী পাকুরিয়া ইউনিয়নের আলেয়া আজম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশিদ হারুনের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই চরবানী পাকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হয়ে রাজনৈতিক দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষক,কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের টাকা, স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়ন, মাঠ সংস্কারের নামে কয়েক বছরের কাবিখা,কাবিটা,টি,আর, ইত্যাদিসহ সরকারি নানান প্রকল্পের আওতায় সঠিকভাবে কাজ না করে সিংহভাগই কাজ কাগজে কলমে সই করে কয়েক বছরে কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এমন অভিযোগ করে এলাকাবাসী, ছাত্র, জনতা, অভিভাবক,শিক্ষক বিভিন্ন সময় মিটিং, মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন এবং এই বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।

প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের এইসব অনিয়ম দূর্নীতির কথা ইতিপূর্বেই ফলাও করে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ,বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি ও স্থানীয় ছাত্র অভিভাবক ও শুধি মহলের অভিযোগ থাকলেও প্রধান শিক্ষকের নগ্ন হস্তক্ষেপে সবই স্থবির হয়ে গেছে।

 

এতে করে বুঝাই যায় প্রশাসন এখনো নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে অক্ষম বা বতর্মান সরকারের দূনীর্তি বিরোধী কার্যক্রমে একত্বতা পোষনে অনিহা। উল্লেখ্য যে জামালপুর ০৩ আসনের সাবেক সাংসদ মির্জা আজমের নাম ভাঙ্গিয়ে তার ছত্র ছায়ায় বেড়ে উঠা এক দূনীর্তিবাজ প্রধান শিক্ষক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হওয়ার,ক্ষমতার অপব্যবহার ও পেশীশক্তির প্রদর্শনে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংকের সৃষ্টি করে মির্জা আজমের নাম ব্যবহার করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে তার কমর্কান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

 

এখানে উল্লেখ্য যে বহুল আলোচিত ফুলকোচা আলেয়া আজম উচ্চ বিদ্যালয়ের,প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে হারুনুর রশিদ যোগদান করলেও তার লোভ চেপে বসে প্রধান শিক্ষক হওয়ার। তিনি সুকৌশলে প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারণ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে বসে যায় ক্ষমতার মসনদে।

 

শুরু করে তার লুট পাটের রাম রাজত্ব। সহকারী প্রধান শিক্ষক হওয়াও বারবার আত্মীয়-স্বজন দ্বারা পকেট কমিটি গঠন করে ২০১৩ সালে অবৈধভাবে নীতিমালা বিরোধী ভাবে প্রধান শিক্ষক হয়ে আরো লাগামহীন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তার মতের বিরুদ্ধে কোন শিক্ষক কর্মচারী কথা বললে মির্জা আজমের ভয় দেখিয়ে চাকরি চ্যুত করা সহ বিভিন্নভাবে শাস্তি দিয়ে যেতেন তিনি, অত্র বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী শিক্ষক ধর্ম, এনটিআরসি থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষক সহ অন্য আরো চারজন শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যালয় হতে বিতাড়িত করেন।

 

তার ক্ষমতার অপ ব্যবহারের মাধ্যমে, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ করাসহ,নিলামে বিক্রি করা পুরাতন ভবনের টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন সামগ্রী আত্মসাৎ,নিয়োগ বাণিজ্য, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, অবৈধভাবে অন্যের জমি দখল সবই তার কাছে পুতুল খেলার মত ছিল। তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা থাকলেও ক্ষমতার দাপটে যা মনে হয় তাই করতো। বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সবাই পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের অপকর্মের অন্যতম দোসর হিসেবে প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এখনো বহাল তবিয়তেই আছেন ।

 

বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক জানান তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অদ্যবধি বিদ্যালয়ের সাকুল্য অর্থ আদায় একক ভাবে নিজের পকেটে রেখে নিজে বিভিন্ন নামে বেনামে ভাউচার দেখিয়ে খরচ করেন অথচ কোন টাকা পয়সা ব্যাংকে লেনদেন করেন না। এমনকি যে সকল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি সুবিধা ভোগ করে তাদের বেতন টিউশন ফি হিসাবে সরকার পরিশোধ করলেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক উক্ত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আবারো অবৈধভাবে বেতন ভাতা গ্রহণ করেন।

যাহা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে কতিপয় অভিভাবক বারবার অবহিত করলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি বারবার নীরব ভূমিকা পালন করেন। এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম আলমগীর জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।