সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ভয়েজ অফ সুন্দরবন, ডেস্ক রিপোর্ট।।
প্রিয় কলম সৈনিক সাংবাদিক ভাইয়রা আসসালামু আলাইকুম। আমি মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন, পিতা- মৃতঃ আব্দুল গফুর গাজী, সাং- বাদঘাটা, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা। আমি শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবে হাজির হইয়া অত্র সংবাদ সম্মেলন করিতেছি। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য এস, এম জগলুল হায়দারের ছত্র ছায়ায় থেকে রামজীবনপুর গ্রামের শুকুর আলী সরদারের ছেলে শ্যামনগর উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ঘের ও জমি জবর দখল কারী সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এস, এম সাইফুল্ল্যাহ আল-মামুন বর্তমানে তার এবং তাহার সহযোগী বিশিষ্ট মিথ্যা মামলাবাজ এবং অত্র এলাকার চিহ্নিত দালাল প্রতারক ভবানীপুর গ্রামের আবুল কাশেম ও সাইফুল্ল্যাহ বাহিনী নেতৃত্বীতে কিছু নামধারী ভূয়া ভূমিহীন যেমন উল্লেখিত আবুল কাশেম এর ভাই আলি হাসান এবং শাহাজান, আফতাব সহ অন্যান্য লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা আমার পৈত্রিক ও কোবলাকৃত সম্পত্তি জবর দখলের হুমকি ও পায়তারা করিতেছে। গত ইং-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ওদের তথা সাইফুল্ল্যাহ ও আবুল কাশেম এর নেতৃত্বে আমার নামে ও আমার ভাইদের নামে মিথ্যা বানোয়াট মানববন্ধন করেছেন। তার প্রতিবাদে অত্র মানবন্ধনের মাধ্যমে সম্মানীত সেনাবাহিনী, প্রশাসন ও সম্মানীত কলম সৈনিক সাংবাদিক ভাইদের কাছে প্রতিবাদ ও দ্রুত প্রতিকারের আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
*মামলা সংক্রান্ত ধারাবাহিক তথ্য এক নজরে*
১। পি,ও ৯৮/৭২ এর বিধান অনুযায়ী আঃ গফুর সাহেবের জমি সহকারী কমিশনার ভূমি শ্যামনগর মিস ০২/০৩-০৪ নং কেলের মাধ্যমে বঙ্গীয় প্রজা স্বত্ত্ব আইনের ১৫১ (এইচ) ধারা মতে ইং ১০/০৩/২০০৪ তারিখে ৩৮.৫৪ একর জমি খাস করেন। ২। উক্ত খাস করার মূল কারন ছিল আঃ গফুর সাহেব পি,ও ১৬/৭২ অনুযায়ী ১৬২৭/৭২ নং হিসাব বিবরণীতে বিরোধীয় মৌজা গুলিতে মোট ৮.৫৭ একর জমি হিসাব দিয়াছিলেন। কিন্তু পরবর্তিতে তিনি এবং তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে যে জমি খরিদ করিয়াছিলেন পুনরায় তাহার কোন হিসাব দাখিল না করায় উক্ত জমি খাস করিয়া সরকারি দখলে নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট একসনা ইজারা দেন।
৩। ইং ১০/০৩/২০০৪ তারিখ শুক্রবার থাকায় আদেশটি বেআইনী বিধায় উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আঃ গফুর সাহেব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাতক্ষীরাতে মিস আপীল ০১/০৪ নং কেস করেন। উক্ত কেসে ইং ০১/০৮/২০০৭ তারিখে আদেশ দেন যে, আঃ গফুর সাহেব ও তাহার পুত্রগন জমি ক্রয় বিক্রয়ের পর যথাসময়ে হিসাব দাখিল না করায় ১৫১ (এইচ) ধারামতে ১,০০০/- টাকা জরিমানা হিসেবে নিয়ে হিসাব বিবরণী সংশোধন করিয়া নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) শ্যামনগরকে আদেশ দেন এবং ইং ১০/০৩/২০০৪ তারিখের খাস করনের আদেশ সহ ইং ১৬/০৩/২০০৪ তারিখের একসনা ইজারা বাতিল মর্মে আদেশ দেন।
৪। উক্ত ইং ০১/০৮/২০০৭ তারিখের আদেশের বিরুদ্ধে একসনা ডিসিআর পক্ষগন বিভাগীয় কমিশনার খুলনা আদালতে
২৬০/২০০৮ নং আপীল করেন। ইং ১১/০৩/২০০৯ তারিখে বিভাগীয় কমিশনার নথিদৃষ্টে আপীল কেসটি না মঞ্জুর করিয়া দেন এবং ০১/০৮/২০০৭ তারিখের জেলা প্রশাসকের আদেশ বহাল রাখেন। ৫। ইং ১১/০৩/২০০৯ তারিখের আদেশের বিরুদ্ধে ডিসিআর পক্ষগন বিজ্ঞ তুমি আপীল বোর্ডে ৫-৬৩/২০০৯ নং (বন্দোঃ) আপীল কেস
করেন। ভূমি আপীলবোর্ড এই বিবাদী আঃ গফুর সাহেবের অনুপস্থিতিতে একতরফা ভাবে পুনরায় দিন না দিয়ে পক্ষকে অবগত না করাইয়া আপীলটি ১৭/১০/২০১২ তারিখে মঞ্জুর করেন।
৬। ইং ১৭/১০/২০১২ তারিখের আদেশের বিরুদ্ধে বিবাদী আঃ গফুর সাহেব ভূমি আপীল বোর্ডেও ফুল বোর্ডে ৫-৮৪/২০১২ (বন্দোঃ) আপীল করেন। ফুল বোর্ড ভূমি আপীল বোর্ডের ১৭/১০/২০১২ তারিখের একতরফা আদেশমটিতে সন্তুষ্ট না হইতে পারিয়া আদেশটি রদ রহিত করিয়া দেন। ইং ৩০/০৮/২০১৫ তারিখে মামলাটি বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তি করিবার জন্য যিনি অবৈধভাবে খাসকরনটি বাতিল করেছিলেন সেই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার নিকট রিমান্ড করিয়া পুনরায় বিচার করার আদেশ দেন।
৭। উক্ত ইং ৩০/০৮/২০১৫ তারিখের নির্দেশ মতে পূর্বে মিস আপীল ১/২০০৪ নং কেসটি পুনঃজীবিত কওে আঃ গফুর সাহেবের সমুদয় কাগজপত্র এবং বর্ননায় সন্তষ্ট প্রকাশ করেন। কিন্তু ডিসিআর পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে তিনি পূর্বেও ০১/০৮/২০০৭ তারিখের রায়ের উপর কোন গুরুত্ব বা আলোচনা না করিআই তাহার নির্দেশিত ১০০০/- টাকা জরিমানা করিয়া ইং ০৩/০৫/২০১৫ তারিখ আপীলটি না মঞ্জুর করিয়া দেন।
৮। ইং ০৩/০৫/২০১৫ তারিখের আদেশের বিরুদ্ধে আঃ ঘফুরের সাহেব বিভাগীয় কমিশনার খুলনাতে ৬৬/২০১৬ নং আপীল কেস করেন। বিভাগীয় কমিণার ইং ০৩/০৫/২০১৫ তারিখের আদেশটি স্তগিত করিয়া করিয়া দেন বটে একই ভাবে ডিসিআর পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে তার পুর্বেও ইং ১১/০৩/২০০৯ তারিখের আদেশের প্রতি লক্ষ্য না কওে উক্ত আদেশটি কেন সঠিক থাকবেনা
সে বিসয়ে আলোকপাত না কওে ০৭/০৭/২০১৯ তারিখে আপীল আবেদনটি না মঞ্জুর করেন। ৯। ইং ০৭/০৭/২০১৯ তারিখের আদেশের বিরুদ্ধে আঃ গফুর সাহেব ভূমি আপীল বোর্ডে ৪-১১৮/২০১৯ (বন্দোঃ) আপীল কেস করেছিলেন যা বিচারাধীন।
১০। বর্তমানে তার সমুদয় বিরাধীয় সম্পত্তি হাল জরিপে তাহার ও তাহার ওয়ারেশ গনের নামে রেকর্ড পাবলিষ্ট হয়ে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
#