সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
ভুমি উন্নয়ন সেবা মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌছে দিতে চাই – ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন শ্যামনগরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগ অতি স্বচ্ছতার সাথে নতুনভাবে পূনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের আবেদন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজি ভূয়া সাংবাদিক সহ আটক তিন শ্যামনগরের কলবাড়ি বাজারে বিএনপি নেতা বাপ্পির দখলবাজি, তিন দোকানে জোরপূর্বক তালা আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে — ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন বদলী হওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সেই  জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপ‌জেলায় যোগদান শ্যামনগরে খ্যাগড়াদানা কিশোর সংঘের উদ্যোগে ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত। দুর্নীতিতে সেরা  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এখনও বহাল তবিয়্যাতে শ্যামনগরের ইউএনওর হস্তক্ষেপে অবশেষে জনসাধারণ ফিরে এলো ঝাপার খালটি
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির নিবেদিতপ্রান নেতা   ——————শেখ লিয়াকত আলী বাবু ————— যুগ্মসাধারন সম্পাদক, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি।

আব্দুল রশিদ নান্টু
Update Time : সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

রিপোর্ট: আব্দুর রশিদ নান্টু

 

শ্যামনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হায়বাতপুর গ্রামের সম্ভান্ত শেখ পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাই। তার পিতা মরহুম ডাঃ শেখ জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়্যারলেস অপারেটর। অবসর জীবনে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনি গ্রামের মানুষের কাছে সুনাম অর্জন করেন। তার যোগ্য উত্তরসূরী সুযোগ্য পুত্র বিএনপি নেতা শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাই।

 

উপজেলার রাজনীতিতে এক নিবেদিতপ্রান নেতার নাম শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাই। সেই ১৯৭৬ সালে মাওলানা ভাসানী ন্যাপ এর ছাত্র সংগঠন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পন লিয়াকত ভাইয়ের। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গঠন করলে লিয়াকত ভাই ১৯৭৯ সালে ছাত্রদলে যোগ দিয়ে শ্যামনগর মহসীন কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে তিনি শ্যামনগর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে বিপুল সমর্থন নিয়ে তিনি শ্যামনগর থানা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সবাইকে অবাক করে দেন।

 

দক্ষ ও সংগঠনমনা লিয়াকত ভাই শ্যামনগরের প্রতিটি গ্রামে, পাড়া মহল্লায় ছাত্রদলের কর্মী তৈরি করেন। এখনকারমত গালগল্প তৈরি করে, পয়সা খরচ করে, চাপাবাজি করে, নেতাদের তেল মেরে তখন নেতা হওয়া যেতনা। সেই সময় লিয়াকত ভাই ছাত্র সংগঠন গুলোর নিকট প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন, শ্যামনগরে বিপুল পরিচিত পান তিনি। সফল ছাত্রনেতা লিয়াকত ভাইকে ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কঠোর ভূমিকার জন্য সব ছাত্র সংগঠন মিলে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের শ্যামনগর থানার আহবায়কের দায়িত্ব অর্পন করেন। সেই দায়িত্ব তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেছিলেন।

 

ছাত্ররাজনীতে চমক দেখানোর পর জেলা বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দের নজরে আসেন লিয়াকত ভাই। সেই সূত্র ধরে ১৯৮৯ সালে লিয়াকত ভাইকে শ্যামনগর থানা যুবদলের আহবায়ক মনোনিত করা হয়। ১৯৯০ সালে লিয়াকত ভাই শ্যামনগর থানা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৮সালে তিনি শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনোনিত হন। বর্তমানে তিনি শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির অন্যতম যুগ্মসাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

হাতেগোনা দুএকজন বাদে লিয়াকত ভাই শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির প্রায় সবার সিনিয়র নেতা। আর এত দীর্ঘ ও ধারাবাহিক রাজনৈতিক অভািজ্ঞতা শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আর কারো আছে বলে মনে হয়না। তুমুল জনপ্রিয়তা নিয়ে শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাই ২০১১ সালে বিপুল ভোাটে শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অত্যন্ত সফলভাবে, দায়িত্বশীলতার সাথে, সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে কখনো ঘুষ গ্রহন করেননি, মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করেননি।

 

লিয়াকত ভাই শ্যামনগর বিএনপিকে সমৃদ্ধ করেছেন, সংগঠিত করেছেন। শ্যামনগর বিএনপির সফল এক নেতা তিনি। নেই কোন অহংকার, নেই কোন পয়সার নেশা। বরং নেতৃত্ব দিতে গিয়ে,মানুষের সেবা করতে গিয়ে লিয়াকত ভাই পিতার রেখে যাওয়া অনেক সম্পদ ঘুচিয়ে ফেলেছেন। মানুষের সেবা করা তার নেশা, রাজনীতি তার অবসরের পেশা।

 

লিয়াকত ভাইয়ের হাত ধরে অগনিত মানুষ বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। শ্যামনগরে ১২ টি ইউনিয়নের সবকটিতে কেউ না কেউ তার হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে আসীন হয়েছেন। তার হাত ধরে উল্রেখযোগ্য যেসব নেতা কর্মী বিএনপিতে পদার্পন করেছেন তারা হলেন নুরনগর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আলমগীর ভাই, নুরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক আব্দুল কাদের ভাই, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রায়াত নেতা নুরমোহাম্মদ সরদার, গাবুরা ইউনিয়নের হাবিবুল্লাাহ বাহার, ফজলুল হক, তমিজউদ্দিন মল্রিক, মুন্সিগঞ্জ ইুউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাসার, সাবেক উপজেলা যুবদল সভাপতি আকরাম হোসেন ভাই, বিএনপি নেতা আবু জাবের মোড়ল, কৈখালী ইউনিয়নের মজিদ মেম্বর, মরহুম আনছার সরদার, জাহিদ মৌলভী, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নুরমোহাম্মদ মোল্যা,,নুরইসলাম মোড়ল,অলিয়ার রহমান, বড় খোকন, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়াারম্যান (বর্তমানে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত )সাদেকুর রহমান ভাই সহ কয়েকশ নেতাকর্মি) কর্শিমাড়ী ইউনিয়নের রাজাগুলা বাহার (বর্তমানে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত ) ও শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের রফিকুল হাজি, আব্দুল হামিদ,শহিদ প্রফেসর, মরহুম জাহিদ প্রফেসর, আব্দুল আজিজ, দিপক গায়েন, সুকুমার বিশ্বাস, রমেশ কুন্ডু, খান আব্দুস সবুর সহ অগনিত বিএনপি নেতাকর্মী।

 

আমরা শেখ লিয়াকত আলী বাবু ভাইয়ের উত্তরোত্তর মংগল কামনা করি। বর্তমান বিএনপির রাজনীিতে লিয়াকত ভই আামাদের জন্য অনুকরনীয় আদর্শ। শুভ হোক তার আগামীর পথচলা।

 

© আব্দুর রশিদ।