সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিল। তারনীপুর, ভেটখালী এলাকার পানি নিষ্কাষনের জন্য ঝুরঝুরি ও হীমখালী খালের সংযোগ স্থলে কালভার্ট নির্মানের জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তারনীপুর–ভেটখালী এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ও কালভার্ট দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে কিশোরীর জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যৎ প্রকল্পে SRHR অ্যাক্সেস নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন- সভাপতি সাইফুদ্দিন, সম্পাদক নাঈম শ্যামনগরে জাতীয় প্রানি সম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে প্রানি সম্পদ প্রদর্দশনীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে  যাদবপুর উত্তর ফুলবাড়িয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়নের দাবিতে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি বর্ষিয়ন জননেতা মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদের সমর্থনে ধারা বাহিক ভাবে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ , শ্যামনগরে সাতক্ষীরা-ভেটখালী মহাসড়ক ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
এইমাত্র পাওয়া:
চোখ রাখুন

বেনাপোলে আলোচিত রেশমা হিজড়া হত্যা, ৮জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

মনির হোসেন
Update Time : সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

 

 

 

 

মনির হোসেন বেনাপোল প্রতিনিধি:

বেনাপোলের বহুল আলোচিত রেশমা হিজড়া হত্যা মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে এ চার্জমিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শংকর কুমার বিশ্বাস ।

অভিযুক্তরা হলেন, বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামের ফারুক হোসেন, আল মামুন, শরিফ শেখ, সাগর উদ্দিন, হোসাইন, জাফর হোসেন, টিটু মোড়ল ও আতউল্লাহ। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দু’জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ মার্চ বিকেলে ডিবি পুলিশ জানতে পারে রেশমা হিজড়াকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছে তার পরিচিতরা। রেশমা হিজড়া নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ডিবি পুলিশ তার বন্ধু ফারুককে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে কাগজপুকুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানের উত্তর কোনায় পুঁতে রাখা রেশমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত তিন-চারজনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, রেশমা ও তার স্বামী পরিচয়দানকারী জাফর একসাথে সীমান্ত এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতেন। নিজেদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হলে কথিত স্বামী জাফরকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিতেন রেশমা। আবার তাকে ছাড়িয়েও আনতেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে রেশমার ওপর ক্ষিপ্ত হন জাফর। এরইমধ্যে বেনাপোল এলাকার সোহাগের বাড়ি ভাড়া নেন রেশমা। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে গিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করেন জাফর। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন রেশমা। ওই মামলায় সাক্ষী করা হয় ফারুককে। কিন্তু ফারুক মামলায় সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন রেশমা। এছাড়া, এলাকার বিভিন্ন লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করতেন তিনি। এরই জের ধরে ঘটনার দিন রাতে কৌশলে রেশমাকে ডেকে এনে মারপিট করে কবরস্থানে নিয়ে যায় আসামিরা। কবরস্থানের পাশে নিয়ে রেশামার মৃত্যু নিশ্চিত করতে জবাই করে তাকে। এরপর রেশমার মরদেহ বস্তাবন্দি করে কবরস্থানে পুঁতে রাখা হয়। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় মফিজুর গাজী মফি ও রুবেলের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চর্জেিশট। চার্জশিটে অভিযুক্ত পাঁচজনকে পুলিশ আটক ও বাকি তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।#