সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব সংবাদ দাতা বড়দল, সাতক্ষীরা
আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলে
অবৈধ ভাবে ও সরকারী নিয়ম উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ
উঠেছে। বড়দল সচেতন নাগরিক কমিটির ব্যানারে একটি অভিযোগ পত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার
আঞ্চলিক পরিচালক, খুলনা অনুকূলে প্রেরণ করেন বলে জানা যাই। সেই সূত্রে আঞ্চলিক পরিচালক
দপ্তর থেকে একটি তদন্তের জন্য গত ২৮ শে এপ্রিল রবিবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমানকে তার
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে জবাব দেওয়ার জন্য হাজির হতে বললে তিনি ঐ দিন হাজির হয় বলে
জানা যায়। খুলনা আঞ্চলিক অফিসে উপ-পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে তদন্তের জন্য
দায়িত্ব ভার দেওয়া হয় বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের পরিচালক
প্রফেসর শেখ হারুনার রশিদ স্বাক্ষরিত গত ২৭/০৮/২০২৪ তারিখে একপত্রে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে
০৫/০৯/২০২৪ তারিখের মধ্যে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষ দায়িত্ব অর্পন পূর্বক পরিচালকে অবহিক
করতে বলা হয়। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ মহামান্য হাইকোর্টে ১০৯৬২/২৪ নং রিট পিটিশান
করলে ০৫/০৯/২০২৪ তারিখে শুনানী শেষে আদেশের বিরুদ্ধে ০৬মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সূত্র মতে জানা যায় বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যক্ষ পদটি গত ২৭/১২/২০২২
তারিখে খালি হয়। উক্ত পদে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার বিধান থাকলেও সভাপতি তার
মনগড়া নিয়মে তৎকালিন ১৩ নং সিলিয়ালের ইংরেজির প্রভাষক মোঃ বাবুল রহমানকে ২২/০১/২৩
তারিখে নিয়োগ দেন। নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে ১বছর অধিক সময় অতিবাহিত হলেও আজও
অবদি উক্ত পদে অবৈধ পন্থায় বহাল রহিছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর
নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেন নি। গতকাল কলেজের সভাপতি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট বড়দল এলাকার সাধারন জনগণ, অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলি
সভাপতির নিকট গেলে তার প্রতিনিধি সন্তোষজনক কোন পদক্ষেপ না নিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা জন
অধ্যক্ষের অফিস রুমটি তালা বন্ধ করে রাখে। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নিকট জানতে চাইলে
তিনি আইনী পদক্ষেপ নিবেন বলে সাংবাদিকদেরকে জানান।