সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট: শেখ কামরুজ্জামান
ভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরের জন্য কবর খোঁড়ার পর সম্পুর্ন অবিকৃত অবস্থায় থাকা এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ছোটকুপোট (যোগিন্দ্রনগর) গ্রামে। আট বছর আগে আব্দুল গণি নামের ঐ ব্যক্তির মতৃ্যুর পর পরিবারের সদস্যরা তাকে উক্ত স্থানে দাফন করেছিল। খবরটি দ্রæত ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের গ্রাম থেকে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমাতে শুরু করে। একই গ্রামের মরহুম আলহাজ্ব শামছুদ্দীন গাজীর ছেলে ছিলেন তিনি।
মরহুম আব্দুল গণির বড় ছেলে আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান জানান ২০১৬ সালের ৩রা মার্চ তার পিতা ৭০বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার পিতা স্থানীয় ছোটকুপোট হাজীবাড়ি দোতলা জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাবলীগ জামাতের সাথী ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সেও তিনি চিলøা লাগানোর পাশাপাশি ধর্মীয় কাজে বিশেষভাবে মনোযোগী ছিলেন।
আবু সুফিয়ান আরও জানান মৃত্যুর পর পিতার অছিয়ত মেনে মৃতদেহ উক্ত মসজিদের পাশে দাফন করা হয়। আগে থেকে সেখানে আব্দুল গণির এক প্রতিবন্ধী মেয়েসহ অপর এক নাতির মৃতদেহ দাফন করা ছিল।
তার দাবি মসজিদের ভবন স¤প্রসারণ জন্য স¤প্রতি দাদাসহ ছোট্ট নাতির কবরের পাশে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। যার অংশ হিসেবে শ্রমিকরা কাজ শুরুর পর কবর খুঁড়ে আব্দুল গণির মৃতদেহ সম্পুর্ন অক্ষত অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে স্থানীয় আলেমগনের সাথে আলোচনার পর নুতন কবরে জানাজা ছাড়াই তাকে দ্বিতীয়বার দাফন করা হয়েছে। এসময় তার পিতার কবরের পাশে থাকা ছোট ভাইপোর কবর থেকে শুধুমাত্র একটি কাপড় উদ্ধারের কথা জানান তিনি। দাদার প্রায় তিন বছর আগে অসুস্থতার কারণে ঔ শিশুর মৃত্যু হয় বলেও নিশ্চিত করেন আবু সুফিয়ান।
সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌছে তারাও আশ্চর্য্য হয়েছেন। তিনি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতেন বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।
উপজেলা সদরের হাম্মাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মাউসুফ সিদ্দিকীবলেন পবিত্র আল কোরআনে বলা হয়েছে, “যারা আল্লাহ পাকের রাস্তায় মারা যান তোমরা তাদেরকে মৃত বলো না।” এটা কোন অস্বাবাবিক ঘটনা নয় বলেও তিনি দাবি করেন।