বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
রিপোর্ট: ভয়েস অফ সুন্দরবন
শ্যামনগর থেকে।। সাতক্ষীরা শ্যামনগরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ হে কেন্দ্র করে উপজেলার ১১ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আমজাদুল ইসলাম আমজাদ কে জড়িয়ে ভিত্তীহীন সংবাদ প্রকাশ করায় ওই এলাকার সাধারন প্রচন্ড ক্ষোভ করেছেন।তারা এর জোর প্রতিবাদ জানিয়ে শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই এলাকার ইমাম মোঃ বিল্লাল হোসেন, ও ইমাম ইমদাদুল ইসলাম। তারা বলেন – , আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাখিমারা নিবাসী ১। মোঃ তৈয়েবুর রহমান, পিতা-নূর মোহাম্মদ গাজী, ২। মোঃ হযরত আলী গাজী, পিতা-মুত মুছা গাজী যৌথ ভাবে গত ইং-০৫/০৪/২০২৫ তারিখ, একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। যেটা উক্ত তারিখে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রকাশিত হয় এবং ইং-০৬/০৪/২০২৫ তারিখ “দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায়” প্রকাশিত হয়। যেটা সম্পূর্ন ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাজানো ছিল, সম্পূর্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ১১নং পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, জনাব আমজাদুল ইসলাম (আমজাদ) সাহেবকে সম্মানহানী করার উদ্দেশ্যে তাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে।
প্রকৃত সত্য ঘটনা হলো, উক্ত সম্পত্তি আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এস,এ, রেকর্ডীয় মালিক। সে মোতাবেক আমরা সহ আমাদের অন্যান্য শরিকদারগণ আজীবন শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগদখল করিয়া আসিতেছি।
ইউনিয়ন পরিষদে নির্ধারিত বিচারের দিনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ উভয় পক্ষ উপস্থিত হই। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে অত্র সম্পত্তির কাগজ পত্রপর্যালোচনা করে আমরা ১.৭৫ একর সম্পত্তি পাই
যেটা বিবাদী পক্ষ হযরত আলী গং মানিয়া লয়। সেই মোতাবেক চেয়ারম্যান সাহেব মৌখিক ভাবে স্থানীয় আমিন জনাব আকরাম উল্যাহর উপর একটি মাপ জরিপের দায়িত্ব প্রদান করেন। আকরাম উল্যাহ মাপ জরিপ দিয়ে ১.৭৫ একর সম্পত্তি বরাবর একটি সীমানা নির্ধারণ করে দেন। আমরা বিবাদী হযরত আলী গংকে জানিয়ে আমিনের নির্ধারিত সীমানা বরাবর এলাকার গন্যমান্য ও বংশীয় লোকজনের সম্মুখে একটি হাত আইল ও নেট জাল দিয়ে দেই। উক্ত তারিখে ঘটনাস্থলে কোনরুপ বাক-বিতন্ডা হয়নি। কিন্তু দেখা যায় যে, মাপ জরিপের ১৫ দিন পরে এসে বিবাদী হযরত আলী গং কে বা কাহাদের কুপরামর্শে এলাকায় শান্তি-শৃংখলা বিনষ্টের উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সংযুক্ত করে চেয়ারম্যান লিখিত রায় দেওয়ার পূর্বেই মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। যেটার আমরা তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাই এবং উক্ত সংবাদে তারা যে সমস্ত আওয়ামীলীগ ব্যক্তিদের নাম প্রচার করেছে, তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। প্রকৃত পক্ষে সংবাদ প্রচারকারী তৈয়েবুর রহমান একজন আওয়ামীলীগের স্বক্রিয় কর্মী। যেটা তিনি নিজ মুখে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৈয়েবুর রহমান আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষ হয়ে আমজাদ চেয়ারম্যানের গাড়ী বহরে হামলা করে ভাংচুর করে। আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।।
##