রিপোর্ট: স ম জিয়াউর রহমান
ঘূর্ণিঝড় দানার তান্ডবাতঙ্ক থেকে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার লাখো মানুষ মুক্ত হলো, রাত জেগে আতঙ্ক থাকা উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তারপরও শুক্রবার সকাল থেকে রৌদ্র, মেঘাচ্ছন্ন দুপুর বারোটার দিকে প্রবল বৃষ্টি ,ঝড়ো হাওয়া বিকালে আকাশ পরিস্কার সব মিলিয়ে দিনটি পার হলো।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, সাতক্ষীরা অঞ্চলে বড় ধরনের কোনো আশংকার কারণ নেই। তবে কালবৈশাখীর মতো দমকা হাওয়া, বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিও হতে পারে। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উঁচু জোয়ার হওয়ার আশংকা আছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় দানার তান্ডব লীলা ভারতের উড়িষ্যা সহ অন্যান্য অঞ্চলের দিকে আছড়ে পড়ার কারণে সাতক্ষীরা সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার লাখো মানুষ ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক থেকে মুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। তবে খোলপেটুয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদ কিছুটা উত্তাল দেখা গেছে। তারপরও রৌদ্রের দেখা মেলায় স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।
উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, কৈখালী, রমজাননগর, আটুলিয়া ও বুড়িগোয়ালিনী এলাকার নদীর পাড়ে বসবাস করা মানুষ উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সাথে রাত কাটালেও সকাল থেকে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর বলেন, আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খোলপেটুয়া নদী। এ নদীর ভাঙনে বেড়িবাঁধ প্রায় বিলিন হতে চলেছে। তাই ঝড়ের কথা শুনে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলায় আমাদের ইউনিয়নের প্রায় ৩০ এর উর্ধ্বে লোক মারা গিয়েছিল, সে কারণে ঝড় আসলেই আমাদের মধ্যে প্রচন্ড আতঙ্ক শুরু হয়।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা আপাতত ঘূর্ণিঝড় দানার তাণ্ডবলীলা থেকে মুক্ত। এ মুহূর্তে সরকারি কোন নির্দেশনা নেই।
এদিকে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাস বলেন, শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকার অবস্থা বর্তমানে ভালো, ঘূর্ণিঝড় দানার তেমন কোন প্রভাব পড়েনি এই এলাকায়।
##