জি এম রাজু আহমেদ শ্যামনগর, সাতক্ষীরা থেকে।।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর এবং কৈখালী ইউনিয়নের ৫ জন শ্রমিকের তাজা প্রাণ সড়কে ঝরে পড়ল।
ঢাকা হাইওয়ের ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর এবং কৈখালী ইউনিয়নের ইটভাটা শ্রমিক ৫ জন নিহত ও ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কোতোয়ালি থানার মল্লিকপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর করিমপুর হাইওয়ে থানার (মাদারীপুর রিজিওন) অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। রেকারের সাহায্যে দুর্ঘটনাকবলিত বাস সরিয়ে নিহতদের বাস থেকে বাহির করা হয়। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন।
মো. সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে আহত ও নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক আছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর থানাধীন মল্লিকপুর নামক স্থানে কে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর বাস স্ট্যান্ড হতে দুটিবাস যোগেপ্রায় দেড়শতাধিক ভাটা শ্রমিক শ্যামনগর থেকে ময়মনসিংহ এলাকার একটি ইটভাটায় যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে কান্নার রোল পড়েছে, পুরো এলাকা জুড়ে শোকের মাতম চলছে।
তিনি আরো বলেন, এখনো পর্যন্ত স্বজনরা তাদের লাশ নিয়ে আসতে পারেনি বাড়িতে।
এছাড়া যারা মারা গেছেন তাদের নাম পরিচয় এখনও পর্যন্ত সনাক্ত করতে পারিনি সজনরা। এলাকা থেকে লাশ আনার জন্য অনেকেই গেছেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ তাইজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কথা শুনেছি, শ্যামনগরে অনেকেই মারা গেছে কিন্তু তাদের নাম-ঠিকানা পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।