সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃশেখ ফরিদ আহমেদ ময়না সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বান ও সমন্বয়ক হাবিবুল রহমানের নেতৃত্বে ভোমরা স্থল বন্দর সি এন্ড এফ এজেন্ট দখল লুটপাট ও ভোটার তালিকায় নাম বাদ দেওয়াসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরর নিউমার্কেট মোড়ে¯ আলবারাকা হোটেলের তৃতীয় তলায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের চোবাড়িয়া গ্রামের রাহাতুল্লাহ গাইনের পুত্র সাবেক যুবদলের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী মোঃ আসাদুর রহমান।
তিনি তার লিখিত বক্তব্য বলেন, আমি ভোমরা স্থল বন্দরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছি। ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরেই ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে ভোট ও প্রদান করে আসছি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের দখলে রেখেছিল। আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারনে আমাকে কোন পদে আসতে না দিয়ে বঞ্চিত করেছে। তারা ইছামত ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন চালিয় আসছিল। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হাবিবুর রহমান হবির কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদ নাজমুল আলম মিলন,লুৎফর রহমান মন্টু সহ কয়েকজন সি এন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয় অবৈধভাবে দখল করে। পরবর্তীতে অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ অবৈধভাবে আত্মসাৎসহ লুটপাট চালাতে থাকে ইচ্ছামতো
সাধারণ সভার তারিখ নির্ধারন, ভোটার তালিকা থেকে অবৈধভাবে অনেক ভোটারদের নাম বাতিলসহ অনিয়ম করতে থাকে। অথচ হাবিবুর রহমান হাবিব নিজই দীর্ঘদিন সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন না । সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন দখল করে ইচ্ছামত তার নাম সংযুক্ত করেছে। দখলের পর আমাকে তারা কমিটিতে রাখার জন্য ১ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং চিঠি ও ইস্যু করে। চিঠিতে আমার নাম ছিল । দাবি মোতাবেক ১ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় পরবর্তী এক চিঠিতে আমার নামের পরিবর্তে পরে আওয়ামীলীগলর সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খানের নাম সংযুক্ত করেন। অথচ এই মাকছুদ খান সিএন্ডএফ এর সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলন।
তিনি বলেন, হাবিবর দাবি মোতাবেক টাকা দিত না পারায় ওই কমিটির তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়ই শুধু ক্ষ্যান্ত হননি। আমাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অঘটনতান্ত্রিক । এছাড়া আমাকে হয়রানি করার জন্য হত্যা মামলার আসামীদলর ভাড়া করে নাজমুল আলম মিলন ও লুৎফর রহমান মন্টুর নেতৃত্বে আমার বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন নাটক সাজানো হয়েছে। এছাড়া হাবিবুর রহমান হাবিরর ইন্ধন লুৎফর রহমান মন্টুর নেতৃত্বে ভোমরা ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন দখল করে লুটপাট চালানো হচ্ছে। মিলন ও মন্টু মাদক এবং চোরা চালানোর সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ।তাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলাও রয়েছে । ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জমি দখলের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও রয়েছে । উক্ত মামলার প্রধান আসামী মিলন এবং তার বাহিনীর সদস্যরাও আসামী। সংবাদ সম্মেলন থেকে এসময় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে দখল ও লুটপাটের সাথে জড়িত হাবিবসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।