স্টাফ রিপোর্টার মোঃ কুরবান আলী
আমাদের ফসল চাষে খরচ কমে যাছে। আবার এসব জৈবসার ও বালাইনাশক নিজেরা তৈরীও করছি। বীজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়িতে বীজও সংরক্ষণ করছি।
এছাড়া উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট এলাকার শামীম ওসমান, শীলতলা গ্রামের চিত্ত রঞ্জন গায়েন, মিতা রানী মন্ডল, তেরকাঠি গ্রামের অল্পনা রানী মিস্ত্রি, শ্রীফলকাটির কিশোরী মোহন বৈদ্য, গোবিন্দ মন্ডলসহ আরও কৃষকরা নিজ বাড়িতে বিভিন্ন প্রজাতির সবব্জি বাগান গড়ে তুলেছেন।
তাদের বাড়িটি একেকটি শিখন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এই বাড়িতে এলে কৃষকরা দেখার পাশাপাশি শিখতে পারবেন। সা¤প্রতিক সময়ে তেরকাটি গ্রামের অল্পনা রানী মিস্ত্রি কৃষিতে নিরব বিপ্লব ঘটিয়ে ডেইলি স্টার, সিটি গ্রæপ প্রথম আলো কৃষি পুরস্কার অর্জন করেন।
শ্যামনগর উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী জামাল হোসেন বলেন, আমাদের বৈজ্ঞানিকরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করছেন এ অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। উদ্ভাবিত কার্যকরী প্রযুক্তিগুলো মাঠ পর্যায়ে দ্রæত জনপ্রিয় করতে প্রকল্পের আওতায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা ও ফসলের জাতগুলোর উপযোগিতা যাচাইয়ের পর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে।
ফসল নিবিড়তায় কৃষিতে বৈচিত্রতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। দেশের দক্ষিণপশ্চিাঞ্চলের লবণাক্ততা মোকাবেলা করে চাষ উপযোগী সবজি, ফল, ডাল, আলু, তরমুজ, গম, ভুট্টা উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষকদের আয় বাড়ানোর পথ সহজ হবে। আগামীতে এ প্রকল্পের আওতায় জমির বহুমুখী ব্যবহারে আবাদ আরও স¤প্রসারিত হবে।
এই প্রসংগে বারসিক’র প্রোগ্রাম অফিসার বাবলু জোয়ারদার বলেন, দুই যুগ আগেও উপক‚লীয় এলাকার জমিতে একটি বা দুটি ফসল হতো। বছরের অধিকাংশ সময় কৃষিজমি পতিত অবস্থায় থাকত। এখন সেসব জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন হচ্ছে। আবার একই জমিতে স্থানীয় জ্ঞান, দক্ষতাও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে একসঙ্গে একাধিক ফসলও চাষ হচ্ছে।এভাবে জমির বহুমুখী ব্যবহার ও ফসল চাষে রাসায়নিক সার ও বিষ ব্যবহার কমিয়ে ফসল চাষ করার ফলে বদলে যাচ্ছে উপক‚লের কৃষকের ভাগ্য।