স্টাফ রিপোর্টার,কুরবান আলী
মহাজনসহ ব্যবসায়ীদের সাথে। আবার পর্যটকবাহী নৌ-যানগুলোকে মেরামতের পাশাপাশি নুতনভাবে সাঁজিয়ে প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় ট্রলারচালকরা।
কদমতলা গ্রামের চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী গৃহবধু জাহানারা বেগম জানান, বংশ পরম্পরায় তারা সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল। পরিবারের সদস্যদের খাওয়া-পরা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ও শিক্ষা খরচও আসে সুন্দরবন থেকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসে বছরে একাধিকবার সুন্দরবন বন্ধের কারনে দিনে দিনে তাদের ঋণের বোঝা ভারী হচ্ছে। এমতাবস্থায় উপকুলজড়ে বিকল্প কর্মক্ষেত্র গড়ার পাশাপাশি সহজশর্তে জেলে পরিবারের জন্য সরকারি ঋণ ব্যবস্থা প্রচলনের দাবি তার।
সুন্দরবন তীরবর্তী মীরগাং গ্রামের হরশিদ মন্ডলের দাবি, অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় এবার সরকার ঘোষিত অভয়ারণ্যের আয়তন বেশী। আবার বড় কোম্পানীর কারনে সুন্দরবনে যেয়েও নিজের পছন্দের জায়গা মিলবে না। এমন পরিস্থিতিতে সুন্দরবন ঢুকলেও কাংখিত মাছ-কাঁকড়া পাওয়া নিয়েও শংকা তার।
ষাটোর্ধ্ব বয়সী এ বৃদ্ধ আরও জানায়, অভয়ারন্যের বিস্তৃতি কমানোর পাশাপাশি বনকর্মীরা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে তারা সর্বশান্ত হবে। লম্বা বিরতির পর বনে যেয়েও মাছ কাঁকড়া না পেয়ে বরং দাদন ব্যবসায়ী আর মহাজনদের থেকে নেয়া ঋণেল বোঝা নিয়ে এলাকা ছাড়ার শংকা রয়েছে।
জেলেরা জানায় বন্ধের সময়ে সংসার চালাতে স্থানীয় বিভিন্ন সমিতি, এনজিওসহ মহাজনদের থেকে তারা ঋণ নিয়েছেন। আবার জাল ও নৌকা প্রস্তুতের জন্য শরানাপন্ন হয়েছেন দাদন ব্যবসায়ীসহ মহাজনদের। এমতাবস্থায় বড় কোম্পানীসমুহের সিন্ডিকেটকে বনবিভাগ সহায়তা করলে তাদের না খেয়ে মরার উপক্রম হবে। সুন্দরবনে ঢুকে নিজ নিজ পছন্দের জায়গায় মাছ ও কাঁকড়া শিকারে কতৃপক্ষের সহায়তা চান তারা।
এসব বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন সুন্দরবনকে রক্ষায় সময়ের সাথে সাথে মানুষের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকসহ জেলেরা বনে যাওয়ার সুযোগ পাবে। বড় কোম্পানীগুলোর কারনে দরিদ্র জেলেরা যেন সবিধাবঞ্চিত না হয় সেবিষয়ে বনবিভাগ সতর্ক থাকার পাশাপাশি টহল বৃদ্ধি করবে।