ফরিদ আহমেদ ময়না
সিন্ডিকেটের কবলে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বিপাকে পড়েছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ে। উর্দ্ধগতির বজারে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা কষ্ট হয়ে পড়েছিল নি¤œ আয়ের মানুষের। সরকার পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়েছে অবৈধ বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১২৫টাকা হলেও আবার কমে ১১০টাকায় দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে গরুর মাংস ৭০০টাকা থেকে দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০০টাকা। সবজির দাম কমেছে সাথে মুদি পণ্যর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
সাতক্ষীরা শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুদিপণ্যের মধ্যে খোলা চিনি ১৪০টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭০টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০টাকা, ছোট মসুর ডাল ১২৫-১৩০টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১২টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০টাকা, খেসারি ডাল ১১৫টাকা, বুটের ডাল ১১০টাকা, চাল সর্বনি¤œ ৫৩টাকা ( আতপ,) রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০টাকা শুকনো ঝাল ৪০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের কাচাবাজারে কাঁকরোল ৪০টাকা, বর্তমান ৩৫ টাকা, করলা ৫০টাকা, বর্তমান ৪০টাকা চিচিঙ্গা ৪০বর্তমান ৩০-৩৫টাকা, ঢেঁড়স ৪০টাকা বর্তমান ৩০-৪০টাকা, আলু ৫৫টাকা বর্তমান ৫৪-৫৫টাকা, পটল ৪০টাকা বর্তমান ৩৫টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০, বর্তমান ৩০টাকা, বরবটি ৪০টাকা বর্তমান ৪০টাকা, পেঁপে ৩৫টাকা বর্তমান ৩৫ টাকা, এবং শসা ৭০-৮০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বিক্রি হচ্ছে ১৬০টাকায়, সোনালি ২৬০টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের মাংস ৯০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকারভেদে রুই ২০০টাকা থেকে ২৮০, কাতল ২৫০ থেকে ৩৩০টাকা, মৃগেল ২০০-২২০টাকা, আকারভেদে পাঙ্গাস ১২০-১৮০টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৮০টাকা, বাগদা চিংড়ি ৭০০-৭৫০টাকা, রূপচাঁদা জাত ও আকারভেদে ৫০০ থেকে ৬৫০টাকা, পাবদা ৩৮০ থেকে ৪০০টাকা, টেংরা ৩৫০টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, তৎকালীন সরকারের অসাধু প্রশাসন ও সিন্ডিকেটবাজরা দাম বৃদ্ধি করে মুনাফা নিতেন। কিন্তু সিন্ডিকেটরা নিরব থাকায় কিছুটা হলে পণ্যর দাম কমেছে যেটা কমেছে সেটাও সহনশীল নয় আরও দাম কমাতে হবে। নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য দ্রব্যমূল্য দাম কমানো উচিত।