সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

রিপোর্ট: ভয়েস অফ সুন্দরবন
কৃষিজমিতে অতিমাত্রায় ব্যবহৃত ক্ষতিকর ও রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসের দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ১১টায় গ্রীন কোয়ালিশন, শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশন ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ) এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বহু কৃষক, শিক্ষার্থী, নারী সংগঠক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গ্রীন কোয়ালিশন শ্যামনগর পৌরসভার উপদেষ্টা ও সাংবাদিক শেখ আফজালুর রহমান। তিনি বলেন, “শ্যামনগরে কীটনাশকের অবাধ ব্যবহার শুধু কৃষিকে নয়, মানুষের জীবনকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। বিষের সহজলভ্যতা বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি।”
বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস.এম মোস্তফা কামাল, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন আরাফাত, বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, গ্রীন কোয়ালিশনের সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের সভাপতি জিল্লুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সভাপতি ডাঃ যোগেশ মণ্ডল, শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুদ্দিন সিদ্দিক, সহ-সভাপতি মোমিনুর রহমান, শরুব ইয়ুথ টিমের ভলান্টিয়ার জেবা তাসনিয়া ও কৃষাণী দেবীরঞ্জন মণ্ডল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,
শ্যামনগরে কীটনাশক এতটাই সহজলভ্য যে কিশোর-কিশোরীরা পারিবারিক বা আত্মকলহের জেরে বিষক্রিয়ায় আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে, এটি কেবল কৃষি নয়, একটি বড় সামাজিক সংকট,যত্রতত্রে পাওয়া যাচ্ছে এ সকল কীট নাশক,নিয়ন্ত্রণে নেই কোন প্রসাশনের উদ্যোগ,তারা বলেন, কীটনাশকের ক্ষতি যুক্ত হয়ে পুরো কৃষিপ্রণালী ভেঙে পড়ছে। বিকল্প ও পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির প্রসার এখন জরুরি,
উপকুলীয় এলাকার মাটি ও পানি ইতোমধ্যে লবণাক্ততা ও দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত। অতিরিক্ত বিষ ব্যবহার এই সংকট আরও বাড়াচ্ছে। সমন্বিত পেস্ট ম্যানেজমেন্ট, জৈব কৃষি এবং কৃষক প্রশিক্ষণকে এখন গুরুত্ব দিতে হবে, ক্ষতিকর কীটনাশকের কারণে মাঠে কাজ করতে ভয় লাগে,জৈব কৃষি হলে ঝুঁকি কমবে, খরচও কমে যাবে, এ সময় তারা আরো বলেন, ক্ষতিকর কীটনাশকের বিক্রি নিয়ন্ত্রণ, নিম্নমানের বিষের বাজারজাত বন্ধ, কৃষকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম নিশ্চিতকরণ, জৈব কৃষি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি এবং বিষমুক্ত খাদ্যের অধিকারের নিশ্চয়তায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জোরদারের দাবি জানান।
এদিকে সচেতন মহল মনে করেন, প্রসাশনের নিয়মিত ভ্রাম্যমান অভিযান, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে ভুমিকা থাকলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে কিন্ত শ্যামনগরের দ্বায়িত্বশীল কৃষি কর্মকর্তার কোন ভুমিকা না থাকার কারনে দীর্ঘদিন কোন অভিযান বা আইনগত ব্যবস্থা না থাকায় এর জড়িতরা বে- পরোয়া হয়ে উঠেছে, তারা উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।